কামাল পাশা গুণি সাধক, মরণোত্তর মুল্যায়ন পাওয়া উচিৎ – একান্ত সাক্ষাৎকারে নাছির চৌধুরী

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জ কলেজ হচ্ছে আমাদের আবেগ অনুভূতির একটা উল্লেখযোগ্য স্থান। একারনেই কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে আমি কোনপ্রকার চিটিপত্র ছাড়াই নিজ উদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। যদিও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমি যাইনি। শুধু আমিই নই আমার আত্মীয় জামিলুল হক চৌধুরীও আমার ন্যায় এই কলেজ থেকে জিএস নির্বাচিত হয়েছিল। আমার পরিবার গ্রাম এলাকাসহ দিরাই উপজেলার ছাত্ররাই সুনামগঞ্জ কলেজের প্রাণ ছিল। নারকেল বিথীর তপোবনে নামে প্রকাশিত একটি স্মারকগ্রন্থে কলেজের সাবেক ভিপি জিএস এর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শুনেছি সেই তালিকায় ইলেক্টেড ভিপি জিএস ও সিলেক্টেড ভিপি জিএস এর নাম তালিকা একত্রে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে নির্বাচিত ও অনির্বাচিতদেরদেরকে এক ওজনে এক পাল্লায় মাফা হয়েছে যা সঠিক ইতিহাস প্রণয়ন ও সংরক্ষনের অন্তরায় বলে আমি মনে করি। শুক্রবার রাতে দিরাই উপজেলা সদরস্থ নিজ বাসভবনে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী একথাগুলো বলেন। এসময় নাছির চৌধুরীর সহধর্মীনি রাবেয়া চৌধুরী শেলী,বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সুনামগঞ্জের দিরাই থানার কুলঞ্জ গ্রামে ১৯৫০ ইং সনের ২রা জুন জন্মগ্রহন করেন গীতিকবি নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তার পিতা মরহুম গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মাতা মরহুমা আক্তারুন্নেছা খানম। তাঁর চাচা দবিরুল ইসলাম চৌধুরী পিতা ছাতির মিয়া চৌধুরীও একজন বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার ছিলেন। এক সময়ের প্রতিভাবান ছাত্রনেতা নাছির চৌধুরী ১৯৬৭ ইং সনে সুনামগঞ্জ কলেজ ১৯৬৯ইং সনে সিলেট এমসি কলেজ ও ১৯৭০ ইং সনে মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের একজন গেরিলা হিসেবে তিনি মুক্তি সংগ্রামে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই সংগ্রামে অংশগ্রহন করেন। শেরপুর যুদ্ধে তিনি ও তার চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমদ চৌধুরী পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন। কৃতি গোলকিপার নাছির চৌধুরীকে ভেদ করে ফুটবল খেলায় যেকোন প্রতিপক্ষের জয়লাভ করাটা ছিল মারাত্মক কঠিন কাজ। ১৯৮৫-৯১ইং সন পর্যন্ত পরপর ২বার দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ইং সনের ১২ জুনের নির্বাচনে বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে ৫০৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ ২ নির্বাচনী এলাকা দিরাই শাল্লা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে সিলেটের একটি জনসভায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়্যুব খানকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মারার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন তিনি। পরে তাকে হয়রানীমূলক মামলায় আটক করা হয়। স্বৈরাচার আইয়্যুব বিরোধী আন্দোলনে সিলেটের রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নাছির চৌধুরী ৪/১২/১৯৭০ইং কারাগারে থাকাবস্থায় বেশ কিছু গান ও কবিতা রচনা করেন। “জেলখানার আইন বড় শক্ত পয়সা দিলে সবাই আবার আপনার-ই ভক্ত।। সকাল থেকে বিকাল সবাই কাজে ব্যস্ত।। কেউ হাসে আর কেউ কাঁদে ভাই,ইঞ্জিন ছাড়া কারখানায় এই সবেরি সমন্বয়ে আইন হয়েছে জেলখানায়। জেলের ভয়ে হাজতিরা নামাজ পড়ে ৫ ওয়াক্ত।। ফাইল ভাঙ্গিলে শাস্তি পাবে,কেউ যাবেনা পশ্চাতে ধনী গরীব নাই ভেদাভেদ সবাই খাবে একসাথে। একটি থালা একটি বাটি,দুটি পাবে কম্বল এই হবে নিয়তি ভাইরে জেলখানারই সম্বল।। লম্বা সাজা যাদের আছে,তারাই হয় সরদার মেট পাহাড়া নামটি তাদের,গননা করে হাজারবার। ফাসির কাস্টে ঝুলবে যারা অল্প সময় শাস্তি রশির মাঝে মানুষ ঝুলে যেন মরে হস্তি। চার দেয়ালে ঘেরা ভাইরে একটি জেলের ঘর কাঁচার মাঝে পাখি রাখছে মরতে হবে মর। মালিক ছাড়া সম্পত্তি ভাই কয়েদীরা ভোগ করে ছেড়ে দিলে সবাই যাবে,কেউ আসবেনা এই ঘরে। বাঘে মহিষে লড়াই করে পিঞ্জিরার-ই ভিতরে কর্তৃপক্ষ দর্শক হইছে তামাশা দেখে অন্ধরে। মিয়া সাহেবরা শাসন করে,যেন মাতাল মত্ত ”।। জানা যায়,১৯৬৭-৬৮ সনে সুনামগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে গোলাম রব্বানী,সাধারন সম্পাদক (জিএস) পদে নাছির উদ্দিন চৌধুরী,সহ সাধারন সম্পাদক (এজিএস) পদে আব্দুল ওয়াদুদ,বিতর্ক ও আলোচনা সম্পাদক পদে সোনা মিয়া,ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদক পদে উম্মুল আরা মনিরা বেগম,সাহিত্য সম্পাদক পদে অদ্বৈত্য কুমার দাস,সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে অনুপম রায় চৌধুরী,নাটক ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে এইচ.এম সাব্বির আহমদ মিনু,ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে মাহবুব আহমদ চৌধুরী ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুকুল চন্দ্র রায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপ বনাম মেনন গ্রুপের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মতিয়া গ্রুপ বনাম মেনন গ্রুপের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মতিয়া গ্রুপের গোলাম রব্বানী-নাছির চৌধুরী প্যানেলের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয় মেনন গ্রুপের আব্দুল আওয়াল ও সুধীর চন্দ্র দাস প্যানেল। নির্বাচনের পর নাছির চৌধুরীর সাথে সাংগঠনিক কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ। পরে তিনি তাঁর চাচা প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে সিলেট এমসি কলেজে গিয়ে ভর্তি হন। সিলেটের রাজপথে ছাত্র ইউনিয়নের সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দেন। অম্লান বদনে আলিঙ্গন করেন জেল জুলুম হুলিয়াসহ পুলিশী নির্যাতন। আমাদের বহমান সংস্কৃতির একটি মূল হচ্ছে ২১ শে ফেব্রয়ারি মহান শহীদ দিবস। জেলখানায় থাকার কারনে দল ও নেতাকর্মীদের নিয়ে সাড়ম্বরে এই দিবসটি পালন করতে পারেননি তিনি। তাইতো কবি স্বরচিত কবিতায় মহান শহীদদের আত্মত্যাগ ও স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেছেন। এরকম শত শত কবিতা লিখে পান্ডুলিপি ভরপুর করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি তাঁর কবিতাগুলো সংরক্ষণ করতে পারিনি। তাঁর স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত স্বপ্ন নামের এরকম একটি কবিতায় তিনি উল্লেখ করেছেন তার দৃপ্ত শপথ এর কথা। “১৯ বছর পরে শহীদের স্মৃতি আজো জনতার ঘরে ঘরে রফিক জব্বার বরকত সালাম তোমাদের স্বপ্ন আমাদের সংগ্রাম আজিও ঢাকার রাজপথ লোকে লোকে কলরব জনতার চোখে তোমাদের লাল রক্ত। ঢাকার রাজপথে চোখে পড়ে অবিরত ভূলিনি ভাই ভূলিনী মোরা তোমাদের দাবী আজিও নতুন শপথ নিয়াছি তোমাদের লাগি”।। কবি নাছির চৌধুরী যখন কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দী ছিলেন। তখন পাক সরকারের শাসনামলে কারাগারের ভিতরে চলতো সরকারের জগন্য অরাজকতা। কালো তালিকা করে সামরিক সরকার বিরোধী অনেক রাজবন্দীকে নানা কল কৌশলের আওতায় হত্যা করা হতো। এসময় নিজের গর্ভধারিনী মাতা ও দেশমাতাকে এক করে সান্তনা দিয়ে কবিতার মাধ্যমে অরাজকতার চিত্র তুলে ধরেন তিনি। “মা”নামের স্বরচিত কবিতায় এমনিভাবে তিনি তুলে ধরেছেন তার মা মাটি ও দেশপ্রেমের চিত্র। “খাবার খেতে যাও যদি মা গলায় বাধে অন্ন জানি আমি কাঁদছ তুমি তোমার বাছার জন্য। এহিয়া খান সরকার হইলো সামরিক আইন জারী করলো তোমার ছেলে জেলে নিলো। মাগো আমি দোষ করিনি সান্তনা পাও তুমি জানি তবু কাঁদবে তুমি জানি আমি জানি। বন্দী সবায় কাঁদতে জানে,চোখে নাইরে জল তোমার কথা ভাবি সবাই নীতিতে অটল। অনেক মায়ে স্বপ্নে দেখে ছেলে আমার ঘুমিয়ে আছে সকাল বেলা বাস্তবেতে ছেলে তাহার মারা গেছে। সেই সময়ের শোক বড়মা তোমার ছেলের কিছুই না শত শত সন্তান মাগো ভেসে গেছে জলের শ্রেুাতে শত মায়ের কান্না শুন তোমার বাড়ির অল্প কাছে। বন্দীশালা মুক্ত হবে তোমার ছেলে আসছে তবে সকল ছেলে মুক্ত হবে তোমার ছেলের একসাথে ”। সুনামগঞ্জের পঞ্চরতœ বাউলের মধ্যমণি দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী গানের স¤্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর সাথে তাঁর জীবনের ৩টি স্মৃতির কথা উল্লেখ করে নাছির চৌধুরী বলেন, আমি এবং গোলাম রব্বানী ভাই এবং আমরা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বাউল কামাল পাশা কে নিয়ে পুরাতন কলেজ প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছিলাম। এছাড়া কামাল পাশাকে নিয়ে আমার জন্মস্থান কুলঞ্জ গ্রামে একটি পালা গানের আয়োজন করেছিলাম। সেখানে বাউল কামাল পাশা ও শাহ আব্দুল করিম দুজনে গেয়েছিলেন পালা গান। আরেকটি স্মৃতি হচ্ছে বাউল কামাল পাশার নিজ গ্রাম ভাটিপাড়ায়। আমি যখন ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হই তখন ভাটিপাড়া এলাকায় গণ সংযোগে গেলে আমাকে চিনতে পেরেই তিনি বললেন আজ রাতটা আপনি আমার এখানে থাকেন। অনিচ্ছা স্বত্তেও তার কথা রাখতে গিয়ে আমি সেখানে তার বাড়ীতে উঠি। তখন তার দারিদ্র্যতার কথা আমি জানতাম। তাই ভাটিপাড়া বাজার থেকে একটা মোরগসহ কিছু বাজার সদাই কিনে দেই। আমার সাথে আনোয়ারপুরের হেলাল উদ্দিন ও বাগবাড়ীর আমির আলী ছিলেন। বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘরটি দেখে আমি একেবারে হতাশ হয়ে যাই। আমরা ৩জন খাওয়া ধাওয়া শেষে একটি খাটের উপর শুয়ে পড়ি। রাত গভীর হয়ে গেলে প্রশ্রাব করতে গিয়ে দেখি আমরা উপরে আর তারা খাটের নীচে শুয়ে আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমি গণরাজনীতিতে পা রাখি অন্যদিকে তিনি এর কিছুদিন পরই মারা যান। আমি হয়তো তাঁর দোয়া পেয়েছি। কিন্তু তাঁর মতো একজন মহান সংগীত সাধকের মরণোত্তর মূল্যায়ন পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
নিম্নে পাক আমলের কারা দু:শাসনের স্মৃতি নিয়ে কবি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ৩টি কবিতা সংযুক্ত করা গেল।
“জেলখানা”
“জেলখানার আইন বড় শক্ত পয়সা দিলে সবাই আবার আপনার-ই ভক্ত।। সকাল থেকে বিকাল সবাই কাজে ব্যস্ত।। কেউ হাসে আর কেউ কাঁদে ভাই,ইঞ্জিন ছাড়া কারখানায় এই সবেরি সমন্বয়ে আইন হয়েছে জেলখানায়। জেলের ভয়ে হাজতিরা নামাজ পড়ে ৫ ওয়াক্ত।। ফাইল ভাঙ্গিলে শাস্তি পাবে,কেউ যাবেনা পশ্চাতে ধনী গরীব নাই ভেদাভেদ সবাই খাবে একসাথে। একটি থালা একটি বাটি,দুটি পাবে কম্বল এই হবে নিয়তি ভাইরে জেলখানারই সম্বল।। লম্বা সাজা যাদের আছে,তারাই হয় সরদার মেট পাহাড়া নামটি তাদের,গননা করে হাজারবার। ফাসির কাস্টে ঝুলবে যারা অল্প সময় শাস্তি রশির মাঝে মানুষ ঝুলে যেন মরে হস্তি। চার দেয়ালে ঘেরা ভাইরে একটি জেলের ঘর কাঁচার মাঝে পাখি রাখছে মরতে হবে মর। মালিক ছাড়া সম্পত্তি ভাই কয়েদীরা ভোগ করে ছেড়ে দিলে সবাই যাবে,কেউ আসবেনা এই ঘরে। বাঘে মহিষে লড়াই করে পিঞ্জিরার-ই ভিতরে কর্তৃপক্ষ দর্শক হইছে তামাশা দেখে অন্ধরে। মিয়া সাহেবরা শাসন করে,যেন মাতাল মত্ত ”।।
স্বপ্ন “১৯ বছর পরে শহীদের স্মৃতি আজো জনতার ঘরে ঘরে রফিক জব্বার বরকত সালাম তোমাদের স্বপ্ন আমাদের সংগ্রাম। আজিও ঢাকার রাজপথ লোকে লোকে কলরব জনতার চোখে তোমাদের লাল রক্ত। ঢাকার রাজপথে চোখে পড়ে অবিরত। ভূলিনি ভাই ভূলিনী মোরা তোমাদের দাবী আজিও নতুন শপথ নিয়াছি তোমাদের লাগি”।। “মা” “খাবার খেতে যাও যদি মা গলায় বাধে অন্ন জানি আমি কাঁদছ তুমি তোমার বাছার জন্য। এহিয়া খান সরকার হইলো সামরিক আইন জারী করলো তোমার ছেলে জেলে নিলো। মাগো আমি দোষ করিনি সান্তনা পাও তুমি জানি তবু কাঁদবে তুমি জানি আমি জানি। বন্দী সবায় কাঁদতে জানে,চোখে নাইরে জল তোমার কথা ভাবি সবাই নীতিতে অটল। অনেক মায়ে স্বপ্নে দেখে ছেলে আমার ঘুমিয়ে আছে সকাল বেলা বাস্তবেতে ছেলে তাহার মারা গেছে। সেই সময়ের শোক বড়মা তোমার ছেলের কিছুই না শত শত সন্তান মাগো ভেসে গেছে জলের শ্রোতে শত মায়ের কান্না শুন তোমার বাড়ির অল্প কাছে। বন্দীশালা মুক্ত হবে তোমার ছেলে আসছে তবে সকল ছেলে মুক্ত হবে তোমার ছেলের একসাথে ”।
আল-হেলাল সুনামগঞ্জ তাং ২১/৩/২০২০ইং মোবাইল : ০১৭১৬-৪৬৯৫০৬