কলম শক্তি ডেস্ক ঃ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী আছে বলে গুঞ্জন ওঠে। এরপর দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের তত্ত্বাবধানে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় দলে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকাও করেন তিনি। এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ‘দলে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করেছেন। এবং তালিকাটি প্রধানমন্ত্রী দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকা বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সারা দেশে এখন যে সম্মেলন হচ্ছে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন একটি নেতৃত্ব আসে। এই নেতৃত্বে যাতে অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিত বা অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা স্থান করে নিতে না পারে এজন্য বিভাগভিত্তিক তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এসব তালিকা দায়িত্বশীল নেতাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় পৌঁছে দিচ্ছেন। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দলটির বিভিন্ন শাখা ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীর তালিকায় উঠে এসেছে বশে কয়েক জনের নাম। যাদের বেশির ভাগই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে এসেছেন। বিভিন্ন দল ছেড়ে আসার পর অনেকেবি আওয়ামী লীগের নেতাও বনেছেন। কোনো কোনো নেতার মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগে ঢুকেছেন, পদ-পদবি পেয়েছেন তারও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তালিকায়। তালিকায় থাকা অনুপ্রবেশকারীরা হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের আলী মর্তুজা (উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি), ধর্মপাশার ফেরদৌসুর রহমান, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, মোহাম্মদ মোকাব্বির, মোহাম্মদ একলাস, ময়না মিয়া, বাবুল মিয়া, তাহের মিয়া, আলাউদ্দিন শাহ, আলম মুন্সি, মহসীন আহমদ, আশরাফ আলী, আলেফর খান, আয়াত আলী, সোহরাব উদ্দিন, রাইস উদ্দিন, সাগর মিয়া, মোহাম্মদ মারুফ, নসর মাস্টার, দিরাইয়ের আবদুর রশীদ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান চৌধুরী, মতিউর রহমান মতি ও শাহজাহান মিয়া। এছাড়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন ইকবাল হোসেন তালুকদার। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি উপজেলা শাখার সহসভাপতি হয়েছেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে ছিলেন। এমন জনশ্রুতির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে এ তালিকায়। ধর্মপাশার শফিকুল ইসলামও জামায়াত থেকে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা বনেছেন।
Related Articles
Check Also
Close-
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মিহির রঞ্জন দাসের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
নভেম্বর ২৭, ২০২৩