দিরাইয়ে পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম, কৃত্রিম সংকট তৈরী মূল্য বেশী নেয়ার পায়তারা সিন্ডিকেটের
স্টাফ রিপোর্টার ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটছে। দোকানের গোডাউনে পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে সিন্ডিকেট। পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে স্বেচ্ছায় সহনীয় মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে লুটপাটের অভিযোগ আনা হচ্ছে ভোক্তাদের উপর। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, বুধবার বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে দিরাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রী করছে টিসিবি, আপনারা সর্বোচ্চ ৭০ টাকা ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করুন। এখবর পেয়ে সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ ক্রয়ের জন্য দিরাই পূর্ব বাজারের কয়েকটি দোকানে হুমড়ি থেয়ে পড়ে। এসময় ভিড়ের মধ্যেও স্বেচ্ছায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ৭০ টাকা কেজি দরে পেয়াজ বিক্রি করেন, ভিড় বেশী হওয়ার কারণে বিশৃংখলা দেখা দেয়। কিছু ক্রেতা মূল্য পরিশোধ না করে পেঁয়াজ নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ ও লক্ষী কান্ত রায়। এ ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দাড় করায় পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। রাতে কতিপয় ব্যবসায়ীরা বাজারে মিটিং করে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়। তাদের নির্দেশ অমান্য করে কোন দোকানদার পেঁয়াজ বিক্রি করলে তাকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। যে কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে বাজার হতে উধাও হয়ে যায় পেঁয়াজ।
এদিকে ক্রেতারা সকালে বাজারে এসে পেঁয়াজ না পেয়ে আক্ষেপ করতে করতে বাড়ী ফিরে যান। পেঁয়াজ আড়তের ম্যানাজার নেপাল বলেন, বুধবার দিরাই থানা পুলিশ আড়তে এসে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন। ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ীতে আজ মেহমান আসবে, সকালে বাজারে এসে প্রতিটি দোকান ঘুরেও পেঁয়াজ পাইনি, দোকানদার বলে তাদের কাছে পেঁয়াজ নেই, অনেকেই বলেন থাকলেও বিক্রি করা যাবেনা, নিষেধ রয়েছে। দোকানদার কামনাশীষ রায় জানান, মহাজন সমিতি থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী সঞ্জিত দাস বলেন, আমার দোকানে পেঁয়াজ নেই, কেন নেই বাজারের মহাজন সমিতিকে জিজ্ঞেস করেন। মহাজন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনীর রঞ্জন রায় বলেন, পেঁয়াজ বিক্রি করতে আমরা নিষেধ করিনি। দোকানদাররা দাম বেশী হওয়ায় আমদানী করছেনা। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, আমিও জানতে পেরেছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।