জাতীয়

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বলছে ছেলে, ডাক্তার ধরিয়ে দিলেন মেয়ে

কলম শক্তি ডেস্ক ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া এক নবজাতক নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর ওই নবজাতককে যে মায়ের কোলে দেয়া হয়েছে তিনি এটি তার সন্তান নয় বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়। সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার, সুহিলপুরের তামান্না আক্তার ও পৌর এলাকার পাইকপাড়ার দিপ্তী রানী দাস ওই তিন সন্তানের জন্ম দেন। শারমীন ও তামান্নার কোলে ছেলে শিশু এবং দিপ্তীর কোলে মেয়ে শিশু তুলে দেন ডাক্তার। কিন্তু জটিলতা তৈরি হয় তামান্না ও দিপ্তীর সন্তান নিয়ে। দিপ্তী মেয়ে শিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার ছেলে সন্তান তার বলে দাবি করছেন। দিপ্তীর মা শোভা রানী বিশ্বাস জানান, সদর হাসপাতালেই তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলে প্রতিবারই তার মেয়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে জানানো হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে তার কাছে মেয়ে শিশু দেয়া হয়। এ কারণে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তামান্নাকে দেয়া ছেলে সন্তানটির তার নাতি বলে দাবি করেন তিনি। তবে তামান্নার স্বজন মো. বকুল মিয়া জানান, দিপ্তীর কোলে যে ছেলে সন্তান দেয়া হয়েছে সেটিই সঠিক। দিপ্তী ও তার মা কেন এমন করছে তা বোধগম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। একটা অস্ত্রোপচারের আধা ঘণ্টা পর আরেকটা হয়েছে। ডাক্তারও ছিলেন আলাদা। তারপরও যদি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে মেয়ে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap