দিরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রতন দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ১১ সদস্যের অনাস্থা
দিরাই প্রতিনিধি: দিরাই চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রদান করেছে পরিষদের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফি উল্লাহ’র বরাবরে পরিষদের ১১ সদস্যদের স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্রটি দাখিল করা হয়। পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃত্ব ভাতা ওয়ার্ডভিত্তিক বন্টনকালে চেয়ারম্যানকে সদস্যদের ঘুষ দিতে হয়। কাবিখা, টিআর, কর্মসূচী প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানকে ১৫/২০% টাকা প্রদান করতে হয়, এলজিএসপির কাজ চেয়ারম্যান একক ক্ষমতাবলে ৩০/৩৫ শতাংশ সম্পন্ন করে পুরো টাকা উত্তোলন করে সচিবের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করে আসছেন এমন অভিযোগ আনেন পরিষদের সদস্যরা। এছাড়াও গৃহহীনদের জন্য সরকারি ঘর বিতরণে ঘর প্রতি চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অনাস্থাপত্রে অভিযোগ আনেন সদস্যরা। সদস্যদের অভিযোগ, পরিষদের নিয়মিত বৈঠক না ডেকে চেয়ারম্যান ইচ্ছেমতো সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে পরিষদ পরিচালনা করে থাকেন, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে অর্জিত আয়ের হিসাব-নিকাশ সদস্যদের অবগত না করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার বলছেন, ইউপি সদস্য চন্দন দাসের অবৈধ আবদার না রাখার কারনে উদ্যেশ্যমুলকভাবে এ অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তদন্তে এসব অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যাবে না বলে তিনি দাবী করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রাজ্জাক অনাস্থাপত্র ইউএনও বরাবর দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।