জাতীয়

স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ; আলোচনায় দিরাইয়ের দুই গুণীজন

কলম শক্তি ডেস্ক ঃ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালের স্বাধীনতা পদক পুরস্কারের প্রস্তাবনায় সুনামগঞ্জের দুই কৃতি সন্তানের নাম আলোচনায় রয়েছে। একজন হলেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ও বাউল মহাজন শাহ আবদুল করিম। অপরজন এশিয়া মহাদেশের বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওবায়দুল কবীর চৌধুরী। দুজনই দিরাই উপজেলার বাসিন্দা। ডা. ওবায়দুল কবীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে রোগি দেখেন। জানা গেছে চলতি বছর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এই দুই মহান ব্যক্তির নাম পাঠানো হয়। মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত এই প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা গেছে, সংস্কৃতিতে শাহ আবদুল করিমের সঙ্গে অন্যান্য এলাকা থেকে মমতাজ বেগম ও কালীপদ দাসের নাম বিশেষ আলোচনায় রয়েছে। তবে চিকিৎসাবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য আলোচনায় আছেন দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া চৌধুরী পরিবারের সন্তান অধ্যাপক ডা. মো. ওবায়দুল কবীর চৌধুরী। তার সঙ্গে চিকিৎসাবিদ্যা ও সমাজসেবায় ময়মনসিংহের অধ্যাপক ডা. একেএমএ মুকতাদিও এর নামও আলোচনায় আছে। এছাড়াও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মো. আব্দুল গফফার এর নাম এসেছে নীলফামারী জেলা থেকে। এই ক্যাটাগরিতে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের নামও শরীয়তপুর জেলা থেকে এসেছে। খুলনা থেকে মরহুম এম এ গফুর, পাবনা থেকে মো. নুরুল কাদের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর নাম এসেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন থেকে। জনসেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য এসএম আব্রাহাম লিংকনের নাম প্রস্তাব করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম এসেছে গাজীপুর জেলা থেকে। টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী প্রতিষ্ঠানকে সমাজ সেবায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নামের প্রস্তাব করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। এছাড়াও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীও নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পাওয়া প্রস্তাবনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি চূড়ান্ত করবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বর্তমানে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয় সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap