দিরাইয়ে ব্রীজ আছে সড়ক নেই
মোশাহিদ আহমদ ঃ- দিরাই পৌর সদরের চন্ডিপুর গ্রামে নির্মাণের ৪ বছর অতিবাহিত হলেও দুপাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্রীজ। ফলে গ্রামের মানুষদের চলাচলের সুবিধার্থে নির্মিত ব্রীজটি কোন কাজেই আসছে না। জানা যায়, পুর্ব চন্ডিপুরের লোকজন পশ্চিম চন্ডিপুর হয়ে দিরাই উপজেলা সদরে সহজ যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিগত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে হাফিজ মিয়ার বাড়ির পুর্ব পাশে ব্রীজটি নির্মাণ করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে বর্তমানে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, শুকনো মৌসুমে এদিকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যেতো, ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এখন আর হেঁটে যাওয়া যায় না। গিয়াসউদ্দিন বলেন, মসজিদসহ একপাশের মানুষ অন্যপাশে যাতায়তে এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ, ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়তের ব্যবস্থা না থাকায় এখন অনেকটা পথ ঘুরে, কাঁদা মাটি মাড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। ছবুর মিয়া বলেন, ৪ বছর ধরে ব্রীজটি ঝুলে আছে, মানুষের কোন কাজে যখন আসছে না, তবে কেন এতো টাকা ব্যয় করে এখানে ব্রীজ করা হলো। তাজিম আলী, সুমন মিয়াসহ একাধিক গ্রামবাসী বলেন, ব্রীজটি আমাদের জন্য দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে এঅবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য গ্রামবাসী স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইদন মিয়া বলেন, ব্রীজটি নিয়ে গ্রামের মানুষ মহাসমস্যায় আছে। ব্রীজের উভয় পাশে অনুমান ৩০০ গজ সড়ক রয়েছে। এটুকু হলেই দুই সড়কে যোগাযোগ স্থাপন হবে। আমরা গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে এমপি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবগত করেছি। উনি বলেছেন মাটি ভরাটের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিবেন, কিন্তু এ টাকায় কাজ সম্পন্ন হবে না। আমরা এমপি মহোদয়কে আবেদন জানাই, তিনি যেন মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেন। এবিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।