সারাদেশ

দিরাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

দিরাই প্রতিনিধি ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া’র বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মির্জা আনিসুর রহমান লিটনসহ ৪০ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া ২০১৮ ইং সালের প্রাক প্রাথমিক, পদ্মফুল ও খেলাধুলা খাতে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা ও ২০১৯ সালের রুটিন মেরামতসহ স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করেন। বরাদ্দের বিষয়ে পরিচালনা কমিটির কাছে কোন তথ্য দেননি প্রধান শিক্ষক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কমিটির সভাপতি সদস্যগণ উপজেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে জমা করেছেন। বরাদ্দের অর্থের বিষয়ে গত ১৪ নভেম্বর পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় আলোচনাক্রমে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি হিসাব পাওয়ার অধিকার রাখে না। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া প্রায়শই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। বিগত কয়েকমাস যাবত বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রতিদিনই উপস্থিতি দেখান। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিজের প্রতিষ্ঠিত জগদল সানরাইজ কিন্ডার গার্ডেন পরিচালনা করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মির্জা আনিসুর রহমান লিটন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া ইচ্ছামাফিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। কোন কোন দিন ১১ টায় এসে ২ টার আগেই চলে যান। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে না আসায় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যঘাত ঘটছে। এছাড়া তিনি সরকারি বরাদ্দের টাকা ইচ্ছেমতো খরচ করে আত্মসাৎ করেছেন। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকা সভাপতির কাছে না দেওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়টি ভিত্তিহীন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।


Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap