স্টাফ রিপোর্টার : দিরাইয়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাতারী ছুরিকাঘাতে সৌভাগ্য রানী দাস (৫৫) নামক ১ মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় মহিলাকে বাঁচাতে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের বেধরক মারধরে আহত হন তার মেয়ে জামাই দিবাকর দাস (৩৫), ছেলে দিপংকর দাস (২৫)। বুধবার দিবাগত রাত ১ ঘটিকায় উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত সৌভাগ্য রানী দাস বর্তমানে মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দিবাকর দাস দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এঘটনায় আহত দিপংকর দাস বাদী হয়ে একই গ্রামের সুমন দাসের পুত্র রান্টু দাসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিপংকর দাস একজন ভুষিমালের ব্যবসায়ী। নিজ বাড়ির সামনের একটি কক্ষে দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন তিনি। ডাকাতি মামলায় হাজতবাসকারী রান্টু দাস তার সহযোগীদের নিয়ে মাদক সেবনসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজ করে আসছে। ঘটনার দিন রাতে গ্রামে কালী পুজানুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিলো। রাত ১২ টার দিকে রান্টু দাস ও তার সহযোগীরা অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে দেয়। এরপর দিপংকর দাস তার ভগ্নিপতি দিবাকর দাস অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বাড়িতে এসে ভাত খেতে ছিলেন। এসময় রান্টু দাস ও তার সহযোগীরা দিপংকরের বন্ধ দোকানের দরজায় এসে ডাকাডাকি করে সিগারেট দিতে বলে। দিপংকর দরজা খুলে সিগারেট দেওয়াকালীন রান্টু ও তার সহযোগীরা দোকানে প্রবেশ করে দিপংকরকে মারধর করে তার দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জোরামুলে ছিনিয়ে নেয়। ভেতরের কক্ষ থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দিপংকরের মা সৌভাগ্য রানী ঘটনাস্থলে এসে বাধা দিতে চেষ্টা করলে রান্টু ও তার সহযোগীরা মহিলাকে এলোপাতারী ছুরিকাঘাত করে। এতে সৌভাগ্য রানীর তলপেটে একাধিক স্থানে ও বাম হাতে ছুরি বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। অভিযোগ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।