
স্টাফ রিপোর্টার : দিরাই উপজেলার চরনাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এনে তার অপসারণ দাবী করে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার শ্যামারচর বাজারে ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর.সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় হাজারো এলাকাবাসীর অংশগ্রহনে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক-ছাত্র সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষজন অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা অমর চাঁন দাশ, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কালাই মিয়া, চরনাচর ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, কাচন আলী, বিকাশ দাশ, প্রসন্ন দাশ, দয়াময় দাস, আলী আমজদ, সাবেক ইউপি সদস্য তাহেদ, ইউপি সদস্য চন্দন তালুকদার, চিত্ত রঞ্জন দাশ, দ্বীপ্তি রাণী দাশ, সজল দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পরিতোষ রায়, মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ললিনী দাশ, প্রভাষক মোস্তাহার মিয়া মোস্তাক, চরনাচর ইউনিয়ন কল্যান সংঘের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান জহুরী, ছাত্রলীগ ইউনিয়ন সভাপতি সোহেল আরমান, সহসভাপতি হাসান মিয়া,বিলাশ,ছাত্রলীহ নেতা মেহেদী ,বশির মিয়া,আমিনুল ,মাসুম, সাকিবুলসহ স্থানীয়রা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরনারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাসের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ১২ জন ইউপি সদস্যই অনাস্থা দিয়েছেন। ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের দুর্নীতির চিত্র জনসমক্ষে এনেছেন। এরফলে আমরা সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের কুঁড়েঘর থেকে অট্টালিকায় গমনের গল্প জানতে পারি। বক্তারা বলেন, চেয়য়ারম্যান এলাকায় বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ ও মাতৃত্ব ভাতা কার্ড ওয়ার্ডভিত্তিক বন্টন সময়ে পরিষদের সদস্যের কাছ থেকে টাকা নেন। এছাড়া কাবিখা, টিআর, কর্মসুচি প্রকল্পের কাজ ইউপি সদস্যরা পেতে হলে চেয়ারম্যানকে পার্সেন্টিস দিতে হয়। এমনিক ইউনিয়নের উন্নয়নমুলক কাজ দিতে আত্মীকরনের মাধ্যমে প্রকল্প আত্মসাত করার অভিযোগ করেন বক্তারা। এছাড়াও গৃহহীনদের জন্য সরকারি ঘরে বরাদ্দে চেয়ারম্যান টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। মানববন্ধনে স্থানীয়রা দ্রুত এসব দুর্নীতির বিচার করার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানান । নতুবা ইউনিয়ন ভবণ ঘেরাও সহ আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসুচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন। এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস বলেন, আমার নির্বাচনের প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্যমুলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এগুলো করাচ্ছেন।