দিরাই প্রতিনিধি : হাওরাঞ্চলের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ২৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ। এর আগে বিধি অনুযায়ী ১৮০ টি শুন্য আসনে ছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৯৫৫ সনে বিদ্যালয়টি দিরাই পৌর এলাকায় প্রতিষ্ঠা হলেও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌর এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী তাড়ল, করিমপুর, সরমঙ্গল ও রাজানগর ইউনিয়নের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করে আসছে। বিগত ২০১৮ ইং সনে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা ছিলো প্রায় সাড়ে চারশ, ২০১৯ ইং সনে ভর্তি সংখ্যাও অনুরুপ। এবার প্রথমবারের মতো আসন সংখ্যা নির্ধাণের ফলে বাদ পড়ছে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী। বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাকরা রয়েছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। তবে উদ্বেগের কোন কারণ নেই জানিয়ে দিরাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন বলেন, শতবর্ষী দিরাই মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি অনেক অভিভাবকই হয়তো জানেন না। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এজন্যই এপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি একটি সহ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কেউ এলে আমরা ভর্তি নেবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সফি উল্লাহ বলেন, বালিকা বিদ্যালয় জাতীয়করণের ফলে বিধি অনুযায়ী ভর্তি নেয়া হচ্ছে। বাদ পড়াদের দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় কিংবা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।