আর কত বয়স হলে বয়স্কভাতা পাবেন দিরাইয়ের শতবর্ষী ছায়ারানী
স্টাফ রিপোর্টার : দিরাই করিমপুর ইউনিয়নের চান্দপুর বিজয়নগর গ্রামের মৃত রমন দাসের স্ত্রী ছায়া রানী দাস। বয়স ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। আজ অবধি জুটেনি বয়স্ক ভাতা। এই বয়সে কুঁড়িয়ে কুঁড়িয়ে দিরাই শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শনিবার তীব্র শীত উপেক্ষা করে দিরাই প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পথচারীদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছিলেন তিনি। এসময় কথা হয় তার সাথে, জানালেন ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে তার। বড় ছেলে মারা গেছে, মেজো ছেলে দীরেন্দ্র দাস দিরাই হাসপাতাল গেইটে ছোট্ট চায়ের দোকানি। পরিবার নিয়ে দিরাই পৌর শহরে বসবাস করেন। ছোট ছেলে রাজিন্দ্র দাস অন্ধ, তার স্ত্রীসহ তিন ছেলে স্বস্ত্রীক ঢাকা শহরে চাকুরী ও বসবাস করে। পিতা অন্ধ তাই রাজিন্দ্রর স্ত্রী ছেলেরা তার খোঁজখবর নেয় না, বাধ্য হয়ে রাজিন্দ্র মায়ের সাথে বিজয়নগর গ্রামে থাকেন।
বৃদ্ধ ছায়া রানী বলেন, আমার ছেলে দীরেন্দ্র চা বিক্রি করে নিজের স্ত্রী সন্তানদের ঠিকমতো ভরণপোষণ করতে পারে না। ছোট ছেলে রাজিন্দ্র অন্ধ বলে তার পরিবারের লোকেরা খবর নেয় না। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করি। কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধা বলেন, সারাদিন ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরে নিজেকেই রান্না করতে হয়, পানি আনতে হয়। আক্ষেপ করে বলেন, যাদের ধন আছে তারা সরকারি সহায়তা পায়, যাদের কিছু নেই তারা পায়না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুকেশ বর্মন জানান, বৃদ্ধ ছায়া রানীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাই আমি চেষ্টা করেও পারিনি। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করে তাকে বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য আমি চেষ্টা করছি।