দিরাইয়ে প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ছাঁই হলো দোকান ; ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

দিরাই প্রতিনিধি: দিরাইয়ে পল্লীতে প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালমালসহ দোকানঘর পুড়ে ছাঁই হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জকিনগর গ্রামে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুলের নেতৃত্বে দিনভর ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে প্বার্শবর্তী দোকান মালিকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জকিনগর গ্রামের মৃত মনীন্দ্র গুপ্তের ছেলে বাদল গুপ্ত গ্রামে বসত বাড়ির সামনে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মুদিমালের দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন। প্রায় ৬ মাস পুর্বে প্রতিবেশী মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আফজাল হোসেন টং দোকান দেয়। আফজালের দোকানে বেচাবিক্রি কম হওয়ায় প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয় সে। কয়েকদিন ধরে বাদলের মুদি দোকানটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পনা মোতাবেক সন্ধ্যা রাতে বাদলের দোকান থেকেই ১০ টাকার কেরোসিন কিনে রাখে। এঘটনার তার চাচাতো ভাইয়ের শিশুছেলে শিহাব মিয়াকে একশত টাকার প্রলোভন দিয়ে সহযোগী করে আফজাল। রাত ১ টায় আগে থেকে বিশেষ কায়দায় বানানো মই দিয়ে দোকান ঘরের পেছন দিক দিয়ে উপরে উঠে কেরাশিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দোকান ঘরের যাবতীয় মালামাল, আসবাবপত্রসহ দোকানঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। তবে রাতের বেলা দোকান ঘরে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের শিখা দেখে জকিনগর ও কদমতলী গ্রামের লোকজন এসে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা সবকিছু পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। দোকান মালিক বাদল গুপ্ত বলেন, পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত এই দোকানটি আমার পরিবারের জীবিকার উৎস। দোকানে থাকা ১০/১২ লাখ টাকার মালামালসহ পুড়ে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। ওসি কেএম নজরুল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্সসহ এলাকায় যাই। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি প্রতিহিংসার আগুন বলে ধারণা হয়। এরই প্রেক্ষিতে প¦ার্শবর্তী দোকানদার আফজালকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে তার ভাতিজা শিহাবকে নিয়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করে।