কলম শক্তি ডেস্ক ঃ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন না পেলে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রামীণফোনের আর কোনো সিম বাজারে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ফোনের নব নিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান। গ্রামীণফোনের প্রথম বাংলাদেশি সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সোমবার প্রথম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আজমান। তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে যত সিম ছিল তার সবই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন নতুন করে অনুমোদন না পেলে আগামী এক সপ্তাহ পর বাজারে আর কোনো সিম দিতে পারব না। তিনি জানান, গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন গ্রামীণফোন ৫০,০০০ হাজার সিম বাজারে ছাড়ে। গ্রামীণফোন তাদের পুরনো ০১৭ কোডের দশ কোটি নম্বর বিক্রি করার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ০১৩ নম্বর কোড থেকে আরও দুই কোটি সিম বিক্রির অনুমোদন পায়। এর সবই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে নিয়মিত সিম বিক্রি হলেও অনেক সিমই আবার বন্ধ হয়ে যায়। আর সে কারণে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে গ্রামীণফোনের কার্যকর গ্রাহক দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৬৪ লাখ। সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে আজমান বলেন, অডিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকার এবং অপারেটরদের মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে সেটির উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সেবাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মহিলাদের কাছে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়মানুসারে কোনো সিম টানা ৯০ দিন একবারের জন্যেও ব্যবহার না হলে সেটি অকার্যকর গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর টানা ১৫ মাস যদি সংযোগটি বন্ধ থাকে তাহলে সেই সিমটি নতুন করে বিক্রি সুযোগ পায় অপারেটররা। গ্রামীণফোনের ০১৭ এবং ০১৩ কোড থেকে এমন ৩০ লাখ নম্বর আছে যা টানা ১৫ মাস ধরে বন্ধ আছে। এই সিমগুলো বিক্রির জন্যেও বিটিআরসিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছে জিপি। কিন্তু বিটিআরসির কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পায়নি দেশের সর্ববৃহৎ অপারেটরটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, অডিটের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছে অডিটের দাবিকৃত ১২,৫৮০ কোটি টাকা না পাওয়ার পরে বিটিআরসি জিপিকে আর কোনো বিষয়ে অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার প্রেক্ষিতেই বিটিআরসি আর জিপিকে পুরনো সিম নতুন করে বিক্রির অনুমোদন দেয়নি। গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, যেহেতু এখন এক ব্যক্তি অনেকগুলো সিম ব্যবহার করে সে কারণে প্রত্যেকেরই একাধিক সিমের প্রয়োজন হয়। নিজের মোবাইল ফোন ছাড়াও ট্যাব, আইপ্যাড বা অন্যান্য সংযোগের জন্যেও মানুষ এখন আলাদা আলাদা সিম ব্যবহার করে। ফলে সিমের চাহিদা অনেক বেশি।