দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধ : গুলিবিদ্ধ ১১সহ আহত ১২
স্টাফ রিপোর্টার ঃ- দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে আধ্যিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবদমান দুটি পক্ষের মাঝে ফের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ মনু মিয়ার পক্ষের জমিল মিয়া (৩২), রিপন মিয়া (২৬), লয়লুছ মিয়া (৩২), মাসুক মিয়া (৬০), শামীম মিয়া (৩২), তাজ উল্লা (৪০), আলাল মিয়া (৩৫), সহ আহত এলিনা বেগম (৩০), ও জাহির আলীর পক্ষের শেখ ইকবাল (৩২), শেখ আব্দুল বারিক (৩৮), শেখ মকসদ আলী (৫০), শেখ রুবেল (৩৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গ্রামের ছেরাগ আলীর পুত্র ছুরত মিয়া ও হারুন মিয়ার পুত্র সাইফুল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক মাসের মধ্যে দুইবার অবৈধ অস্ত্রের গুলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রামের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। ইউপি সদস্য মনু মিয়া বলেন, আজ (বুধবার) বিকেলে আমি বাড়ী থেকে বের হলে জাহির আলীর লোকজন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে এলে তারা আমার লোকজনের উপর এলোপাতারি গুলি চালায়। প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড গুলি করে তারা আমার পক্ষের ৭জনকে গুলিবিদ্ধ করে। তারা সবাই ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি আছে। জাহির আলীর পক্ষের বুরহান মিয়া জানান, মনু মিয়ার লোকজন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার পক্ষের ৪জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করেছে। তাদেরকেও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার নাজিয়া বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে রায়বাঙ্গালী গ্রাম থেকে ৯জন আহত রোগী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ৮জনই গুলিবিদ্ধ। সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুটি পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যে অনেক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। ঘটনার সময়ে আমরা সেখানে ছিলামনা, গুলাগুলি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য গত মাসের ৫ তারিখে এ দু পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এনিয়ে মনু মিয়ার পক্ষের শামীম মিয়া বাদী হয়ে দিরাই থানায় ও জাহির আলীর পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা দুটি তদন্তাধীন রয়েছে।