ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা-ভ্যানের কবলে ত্রিশাল

মমিনুল ইসলাম মমিন, ময়মসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালের সড়ক, মহাসড়কসহ অলিগলিতে ছেয়ে গেছে ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যানে। মহা-সড়কে চলছে দুরপাল্লার যানবহনগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে, যার ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় নামার পর যাত্রীদের কাছে রিকশা এখন দুই নামে পরিচিত। পায়ে চালিত রিকশাকে ‘বাংলা রিকশা’ এবং ব্যাটারিচালিত রিকশাকে ‘ব্যাটারি রিকশা’ নামে ডাকেন যাত্রীরা। অটোরিকশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা এবং সে তুলনায় কম ভাড়ার কারণে যাত্রীদের কেউ কেউ ব্যাটারি চালিত রিকশায় চড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু চড়ার পর তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে অনেকে এগুলোতে পা রাখতে চান না। দরিরামপুর এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একাধিকবার ব্যাটারি চালিত রিকশায় চড়ে অফিসে গিয়েছি। আমি দেখেছি, এসব রিকশা ব্যস্ত মহা-সড়কে চলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। কারণ চালকেরা সবাই দক্ষ নন।’ পিছিয়ে নেই ভ্যানগুলোও। আগেকার সময়ে ভ্যান যদিও মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত হতো কিন্ত এখন ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে যাত্রী বহন করছে ব্যাটারি চালিত ভ্যান। জানা গেছে, মোটরচালিত রিকশা-ভ্যানের ব্যাটারিতে দু-তিন ঘণ্টা করে দিনে দুবার করে চার্জ দিতে হয়। এতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের অপচয় হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব রিকশা-ভ্যানের কারণে ত্রিশালে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক রায়হান মিয়া বলেন, ‘হেরা (ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান) তো রাস্তার রাজা। হেগরে তো কেউ কিছু কইতে পারে না। আমাগো গাড়ীর কাগজপত্র না থাকলে, রাস্তায় কোনো সমস্যা হইলে পুলিশ মামলা দেয়, জেল-জরিমানা করে। কিন্তু তাগর তো ওই সব কোনো ঝামেলা নাই।’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলেন সিএনজি চালক রায়হান মিয়া। দুর্ঘটনার পরোয়া না করে রাস্তায় দুরন্ত বেগে ছুটে যাওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান দেখেই তাঁর এতসব ক্ষোভ। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন এসব রিকশা-ভ্যান অবৈধ। কিন্তু নীতিমালার সীমাবদ্ধতায় এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়দায়িত্ব নিতে চায় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।