
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বারঘর মৌজার জেএল নং-২০, ১ নং খতিয়ানের ৩১৯ ও ৩২০ নং দাগে সরকারি ভূমির ‘খেলার মাঠ’ দখল করে বসতি স্থাপনের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। ইতোপূর্বে একই ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামের সরকারি ভূমি দখল করে স্থানীয় লোকজনের নিকট মৌখিকভাবে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বারঘর গ্রামের শুভাষ দাসের ছেলে অরবিন্দ্র দাসসহ ১৯ জনের একটি গ্রুপ খেলার মাঠ ও গোচারণ ভুমি হিসেবে ব্যবহৃত সরকারি জমিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করলে রবিবার সরেজমিনে গিয়ে মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল । সোমবার সরেজমিন গেলে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে সরকারি জমি খেলার মাঠে মাটি ভরাটের কাজ করছেন অরবিন্দু দাস গং এর লোকজন। ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, তালিকা পায়নি তবে শুনেছি বারঘর গ্রামের ১৯ জনের একটি গ্রুপকে গ্রামের কতিপয় মাতব্বররা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে মাটি কেটে বসতি স্থাপনের পরামর্শ দেন, মাটি কাটতে শুরু করলে সরেজমিনে গিয়ে আমি মৌখিক ভাবে তাদের নিষেধ দিয়েছি । এখন লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবগত করা হবে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট ভুমি অফিস সুত্রে জানাগেছে, বারঘর মৌজায় ১ নং খতিয়ানে ৩১৯ নং দাগে ২২ একর এবং ৩২০ নং দাগে ২.৩৫ একর জায়গা রয়েছে, এ দুই দাগেই খেলার মাঠ ও গোচারণ ভুমি রয়েছে। কোন ভূমিহীন বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেননি বলে জানান ইউনিয়ন ভুমি অফিস সহকারি। সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর দাস জানান, শুধু অরবিন্দু নয় গ্রামের ১৯জনকে গ্রাম্য মাতব্বর প্রেমতোষ দাস, অভিদাস ও প্রদীপ দাসসহ দশের সিদান্তে সরকারের এই জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে, এই জায়গা গ্রামের দশের দখলে আছে বলে তিনি দাবী করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, বারঘর গ্রামের প্রেমতোষ দাস গংরা সিকিউরিটি হিসেবে গ্রামের ১৯ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি জমি খেলার মাঠ ও গোচারণ ভুমিতে বসতি করার মৌখিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তাদের তৎপরতায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে সরকারি জমি খেলার মাঠে মাটি কাটা হচ্ছে।
