
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে একজন সুনামগঞ্জ দিরাইয়ের রবিউল ইসলাম। সে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদীপুর নয়া বাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। রবিউল সিলেট এমসি কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। জানা যায়, ২০১৭ সালে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস ভাংচুরের মামলার আসামি রবিউল। ঘটনার সাথে রবিউলের জড়িত থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে দিরাইয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেকেই রবিউলের এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও তার শাস্তি দাবি করছেন। সময় টিভি সূত্রে জানা যায়, রবিউলসহ অভিযুক্তরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী। ঘটনার পর তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত এক ধর্ষকের রুম থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমরা রাতে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের রুম থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করি। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা প্রক্রিয়াধীন। এর আগে সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে এসেছিলেন ওই তরুণী। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাত ১১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।