কলম শক্তি ডেস্ক ঃ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছ এবার ‘১৯৫১ সালের ভাষা’ আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন। টানানো ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘ভাষা আমাদের, ভাষা দিবস বিশ্ববাসীর’ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। পরের লাইনে লেখা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫১ এর ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। নিচের লাইনে লেখা হয়েছে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এম.পি, সিলেট-৩। ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এমনই একটি ব্যানার টানানো হয়েছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট রোডের মস্তফা মেম্বার রোড এলাকায়। তবে ফেঞ্চুগঞ্জের ৪ নং উত্তর কুর্শি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুল মনাফ বলেন, এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। রাতে ব্যানারটি লাগানোর সময় আমাদের চোখে ধরা পড়ে নি। তবে সকালে আমি একটা প্রোগ্রামে থাকা অবস্থায় কয়েকজন আমাকে বিষয়টি জানালে আমি দ্রুত ব্যানার নামিয়ে ফেলি। এবং পরবর্তীতে এটি ঠিক করা হয়েছে। অন্যদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ যুবলীগের নেতা মিজানুর রহমান বলেন, এটি অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। কারণ এমন ঐতিহাসিক দিনের তারিখ ভুল লেখা মোটেও কাম্য নয়। এর আগে বিগত ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিলেট-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েসকে রাজাকারের ছেলে বলেছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আবু জাহিদ। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক দেলোওয়ার হোসেন ওরফে ফিরু রাজাকার এমপি কয়েসের বাবা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্থানীয় ফেঞ্চুগঞ্জ পশ্চিমবাজারে কাইয়ার গুদামে নিরীহ নারীদের নির্যাতন, স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হত্যা এবং অমানুষিক নির্যাতন করা অভিযোগও করা হয় ফিরু রাজাকারের বিরুদ্ধে। এছাড়া এমপি কয়েসও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ক্যাপ্টেন আনসারীর জলপাই রংয়ের জিপ গাড়িতে চড়ে ফেঞ্চুগঞ্জের আনাচে কানাছে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি নির্যাতনের ছক তৈরি করেছিলেন স্থানীয়ভাবে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর লেখনীতে সেই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে সে সময় এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক। অনেক মুক্তিযোদ্ধাও বাবার পরামর্শে যুদ্ধে গেছেন।
সংগৃহীত ঃ সিলেট ভয়েস