সারাদেশ

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি শামসুজ্জামান ঝুনু’র কৃতজ্ঞতা

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি শামসুজ্জামান ঝুনু দেশমাতৃকার টানে বিলেতে থেকেও মানুষের কল্যাণে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ প্রদান, বিনা চিকিৎসায় ধুঁকতে থাকা অসহায়দের চিকিৎসা সহায়তা, কিশলয় নামে সংগঠনের মাধ্যমে শিশুদের কল্যানে কাজ করাসহ বিভিন্নভাবে সামাজিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নিজের প্রিয় মায়ের নামে নামকরণ করে গ্রামের মানুষকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হাতিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘নাহার স্মৃতি পাঠাগার’। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এর উদ্বোধন করা হয়ে। অনুষ্ঠান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। আপ্লুত কবি শামসুজ্জামান ঝুনু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন, হুবহু তুলে ধরা হলো।

সবই শ্রস্টার করুনা, বহুদিনের লালিত স্বপ্নের হলো আজ শুভ সুচনা। জ্ঞ্যানের আলোয় আলোকিত, দুর হউক সমাজের অন্ধকার, বইয়েই লাগুক নেশা শুদ্ধাচারের স্থান হউক পাঠাগার। আমাদের বাড়ী এসো সুহৃদ, আকুল প্রানে রই, ধন্য হবো,পুন্য হবে সংগে আনলে বই। সময়ের স্বল্পতা হেতু আয়োজনে ছিলোনা তেমন আড়ম্বর কিংবা ব্যাপকতা।তবুও অনেক গুনীজনের চরনধুলিতে ধন্য করিলেন যারা, তাহাদের তরে দেবার কি আর সাধ্য আছে আমাদের নিখাদ ভালোবাসা ছাড়া! নাম ধরে পৃথকতা না এনে,শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে।জরুরী কাজ ফেলে অনেকেই ছুটে এসেছেন স্বচ্ছ ভালোবাসার টানে। শ্রদ্ধা এমন দিল দরদিয়াদের। তবুও কিছু না লিখলে মনের দ্বীনতা থেকেই যাবে বলেই লিখা। পাঠাগারের সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রদ্ধেয় গুলজার ভাইয়ের নিরন্তর চেষ্টা, অসম সাহসী কর্মঠ উদ্দমী তরুন ছোট ভাই আলমগীর !তার অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে সফল করেছে এমন তড়িৎ আয়োজন। ত্রুটি বিচ্যুতি যে ছিলোনা তা কিন্তু নয়।তা নিশ্চয় ক্ষমাযোগ্য তাও বলতেই হয়। সিলেট থেকে ছুটে গিয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষক,পরম শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই প্রফেসর আলীম উদ্দীন ভাই ,বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ভাটিপাড়া থেকে ছুটে আসা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক জনাব সাজিদুল ইসলাম স্যার এবং শ্রদ্ধেয় চাচা হারুনুর রশীদ স্যার কেও,,এসেছিলেন কলম শক্তি ডটকমের সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মামা মোশাহিদ সরদার, এসেছিলেন হাতিয়া প্রাইমারী স্কুলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শ্রী নীরেশ চন্দ্র,এবং মিজানুর রহমান তালুকদার।উনাদের তরে আমাদের ঋনের সীমা নাই।ছুটে গিয়েছে ছোট ভাই সোহেল,করেছে যথাসাধ্য পরিশ্রম। ছুটে গিয়েছে কৃষ্ণ চুড়া সবুজ সংঘের আরেক তাজা তরুন আখলাক হোসেন।অসুস্থতা আর ব্যাস্ততার মাঝেও থেমে থাকেন নি আরেক শ্রদ্ধাভাজন বন্ধুসম চাচা হাফিজুর রহমান,বন্ধু চমক আলী, সাজ্জাদুর, হেলাল মাস্টার, জাকারিয়া মাস্টার! বিনা জোরা জুরিতেই তাদের সরব উপস্থিতি বাড়িয়েছে অনুষ্ঠানে বাহার। দিরাই থেকে নির্মল হৃদয়ে ছুটে গিয়েছেন ছন্দ কবি আব্দুল মুকিত,দিরাই থানা গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টা বকুল ভাই,সায়েম ভাই।জগন্নাথপুর থেকে ছুটে গিয়েছে স্নেহভাজন মামাতো ভাই বেলাল।হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী গনকে জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা, তারা বিসর্জন দিয়েছেন তাদের আরেক অনুস্টান বনভোজন।ছুটে এসেছেন তারাপাশা বার্তার উমেদ আলী মামা,আরেক তারুন্য উদ্দীপ্ত টগবগে যুবক। হাতিয়া কতো সুন্দর ফেসবুক আইডির পরিচালক হিমেল মোবারক। প্রবাস থেকে গিয়েও এতো ব্যাস্ততা সত্ত্বেও আকুল প্রানে ছুটে গিয়ে যে প্রকাশ করেছে তার হৃদ্যতা সে আরেক তরুন সমাজ কর্মী স্নেহাশিস মহিউদ্দীন জগনু।ছুটে এসেছিলেন হাতিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম। আর যার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নেই কোনো সংকুচতা বা কৃপনতা তিনি হলেন আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সরলমনা সমাজ সেবক জনাব মঞ্জুর আলম চৌধুরী সাহেবের প্রতি।কোনো আনুষ্ঠানিক দাওয়াতের প্রচলিত ধারাকে উপেক্ষা করে উনার উপস্থিতি এই যাত্রার মাত্রাকে করেছে আরো সুউচ্চ। ধন্যবাদ জানাই বাড়ীর উদীয়মান তরুন,আবু সালেহ,ইমরুল কয়েছ, তাহমীদ হাসান উজ্জল, আল আমীন হোসেন,রবিউল ইসলাম শেবলু সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের অসামান্য কাজের জন্য। ভুল ত্রুটি ক্ষমাযোগ্য। কৃতজ্ঞতা সবাইকেই জানাই। ধন্যবাদ।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap