দিরাইয়ে জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধনের পাঁয়তারা ; হুমকিতে কৃষকের বোরো জমি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কালিয়াকুটা হাওরে অবস্থিত নইগাং নামক জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র। এরফলে পানির অভাবে জলাশয় সংলগ্ন কৃষকদের বোরো জমি চাষ হুমকিতে পড়েছে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে পেরুয়া হাসনাবাদ গ্রামের কৃষক মো. খালেক মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় চরনারচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তপশীলদার আলতাফ হোসেন সরেজমিন নইগাং জলাশয় পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। গ্রামের কিছু লোক জলাশয়টি শুকানোর উদ্দেশ্যে বাঁধ দিয়ে সেচপাম্প লাগিয়েছে, আমি তাদের নিষেধ করেছি। প্রতিবেদন তৈরী করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সতানন্দপুর মৌজার ২৭ নম্বর জেএলস্থিত, সাবেক দাগ নং- ৪০০১, ৪০১৯, হাল দাগ নং- ৫০০১, ৫০২০, পরিমাণ- ৬.৩১ একর আয়তন নিয়ে নইগাং জলাশয়টির অবস্থান। চলতি বছর জলাশয়টি ইজারা না হলেও পেরুয়া হাসনাবাদ গ্রামের মনফর আলীর পুত্র আলী উসমান, তালুক আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন, চানফর আলীর পুত্র নুর জালাল, আক্রম আলীর পুত্র জাহেদ মিয়া, মাস্টার আলীর পুত্র শামসু জলাশয় থেকে অবৈধভাবে মাছ আহরণ করে আসছে। একপর্যায়ে জলাশয়টি শুকিয়ে মাছ ধরার জন্য জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে সেচযন্ত্র স্থাপন করে। এতে জলাশয় সংলগ্ন কৃষকদের বোরো জমি চাষে পানি সংকটের সম্ভাবনা দেখা দেয়। ভুক।ভুক্তভোগী কৃসকরা প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উল্লাহ বলেন, জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধন অবৈধ। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।