স্টাফ রিপোর্টার : দিরাইয়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ নানান শ্রেণিপেশার মানুষদের নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে হেলথ ইন্সপেক্টর নবেন্দু চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুল হালিম, ওসি (তদন্ত) আকরাম হোসেন, ইমাম ইদ্রিস আহমদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, সাংবাদিক আবু হানিফ চৌধুরী, মোশাহিদ আহমদ প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে আতংক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। উন্নত দেশগুলো এর প্রতিকারে হিমশিম খাচ্ছে। আশার কথা হলো এপর্যন্ত আমাদের দেশে এভাইরাস হানা দেয়নি। আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, দিরাই উপজেলা একটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। আমাদের স্বজনরা ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। বছরজুড়েই তাদের নিজ এলাকায় আসা যাওয়া রয়েছে। এখন যারা দেশে আসছেন বিশেষ করে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে দেশে আসারা একটু বেশী সচেতন থাকলে ভালো হবে। সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, করুনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের কোন রিসার্চ নেই, এরকোন প্রতিষেধক কিংবা সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। একটা সময় ছিল প্লেগ রোগ, গুটি বসন্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছে, ওই সময়ে এই রোগগুলো নতুন অবস্থায় ছিলো, পরবর্তীতে এসব রোগের প্রতিকার, চিকিৎসা পাওয়া গেছে। করুনাভাইরাস আমাদের জন্য একটি নতুন রোগ, সর্দি,কাশি জ্বরকে স্বাভাবিক মনে হতে পারে তবে এগুলো কিন্তু করোনাভাইরাসের উপসর্গ। তিনি বলেন, আমাদের এনিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই, আমাদের দেশে সে পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। এজন্য আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিদেশ ফেরতদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা মনে রাখবেন, ইউরোপ আমেরিকায় কঠিন রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে নেওয়ার লোক থাকে না। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্র সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম, আপনি আমি যতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হই না কেন, আমাদের স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয় স্বজন সেটি বুঝবে না, আমাদের কাছে যাবেই। এজন্য আমাদেরকেই সর্তক থাকবে হবে। আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা আসছেন, ফিরে আসার পর অন্তত দুই সপ্তাহ পৃথক থাকুন, এরমধ্যে সর্দি জ্বর, কাশি, গলাব্যথা দেখা দিলে দেরী না করে সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি ও পশুপাখির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। প্রতিকারের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা, হাঁচি, কাশির সময় মুখ ডেকে রাখা, অসুস্থ্য পশু পাখির সংস্পর্শে না আসা, মাছ মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়াসহ আইইডিসিআর এর নির্দেশনা মেনে চলুন।