জাতীয়সারাদেশ

দিরাইয়ে পণ্য বিক্রয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা ; নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বে মহামারী হিসেবে আবির্ভূত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে সংক্রমণ হয়ে ১জনের মৃত্যু সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে ভয় ও আতংক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে এমন আশংকা থেকে সাধারণ মানুষ খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সাধ্যমতো কিনে ঘরে রাখছেন। এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এদিকে পণ্য বিক্রয়ে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ। বৃহস্পতিবার দিরাই বাজার ঘুরে দেখা যায়, বুধবার ৩৫/৪০ টাকা দরে বিক্রিত পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। রসুন ছোট ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ও বড় বসুন ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০/২০০ টাকা ও আলু ১৫ টাকা থেকে ১৮/২০ টাকায় পৌঁছেছে। বেড়েছে ডাল চিনি ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন সবজির দাম। একইভাবে বেড়েছে মাছ মাংসের দাম। বুধবার ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রিত শোল মাছ বৃহস্পতিবার ৪৫০ টাকা, বোয়াল মাছ (১ কেজি সাইজ) ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ব্রয়লার মোরগ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশী ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির স্থানীয় ডিলার মুসুরি ডাল, চিনি ৫০ টাকা, সোয়াবিন ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করলেও এর প্রভাব বাজারে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষের অতিরিক্ত কেনার প্রবণতাকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। গাড়ি চালক বাবলু মিয়া বলেন, কি হয় কি হয় ভেবে আমরা আতংকে আছি, এজন্য সবাই একটু বেশী কিনছি। তাই বলে দাম বাড়বে কেন। সরবরাহতো স্বাভাবিক আছে। দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে জানিয়ে বলেন, একটি পরিবার বা একজন ব্যক্তির কাছে সর্বোচ্চ চাল ৫০ কেজি, পেঁয়াজ ২ কেজি, ছানবুট ১ কেজি, আলু ২ কেজি, ডাল ১ কেজি, তেল ২ লিটার, রসুন ১ কেজি বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাজারে সবধরণের পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। মানুষের দুর্বলতাকে পুঁজি করে যেসব ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের পাঁয়তারায় থাকে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap