সারাদেশ

শাল্লায় মেলার নামে রাতভর অবাধে জুয়ার আসর

শাল্লা প্রতিনিধি: ক্যাসিনো কান্ডের ঘটনার পর সারা দেশে জুয়া বন্ধে ব্যাপক তৎপরতা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জুয়া বন্ধে জারি হয় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা । এরপর সারা বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্কময় করোনা ভাইরাস। ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে দেশে দেশে দীর্ঘ হতে থাকে লাশের সারি, যা এখনো অব্যাহত।বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, প্রাণ হারান ১ জন, অনেকেই আছেন কোয়ারেন্টাইনে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জনসমাগমপুর্ণ সবধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাল্লা উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন মেলার ধর্মীয় কার্যক্রম ব্যতিত প্রসাধনী মেলাসহ সকল প্রকার গণজমায়েত বন্ধের জন্য উপজেলায় মাইকিং করে। এমন ঘোষণায় বন্ধ হয়েছে তিনশত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বাহাড়া সোমেশ্বরী মেলা। মেলা বন্ধ হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এর দু’দিন পরই বুধবার শুরু হয় শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামে মেলা। দিনে মেলার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও রাতভর চলেছে জুয়া খেলা। আর এই জুয়া খেলার ফলে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন এলাকার যুবকরা। জানা গেছে, উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামের পাঁচহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় অর্ধশতাধিক জুয়ার ঘর বসে এই খেলা চলে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামকে জানানো হলেও বন্ধ হয়নি জুয়া খেলা। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকে বলেন, সারা দেশে জুয়া বন্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে হাইকোর্টের। জুয়া খেলা বন্ধের জন্য আমি ইউএনওকে বলে দিচ্ছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, জরুরী সেবাকেন্দ্র ৯৯৯ এ কল করলেও মেলার নামে জুয়ার আসর বন্ধ হয়নি । স্থানীয়দের অভিযোগ আটগাঁও ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় রাতভর জুয়া খেলেন জুয়াড়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, শাল্লা থানার সাথে হাত মিলিয়ে এই জুয়া খেলা দিয়েছে আয়োজকরা। এদিকে কয়েকদিন আগেও রাহুতলা মেলায় রাতভর জুয়া খেলার আসর বসেছিল। এই বিষয়েও শাল্লা থানার অফিসার্জ ইনচার্জকে জানানো হলেও কোনো সুফল পায়নি এলাকাবাসী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। জুয়া খেলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করার আশ্বাসও দেন তিনি। এরপরও কোনো কাজ হয়নি। রাতভর অবাধে জুয়া খেলা। এ বিষয়ে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (দিরাই শাল্লা) বেলায়েত হোসেন শিকদার বলেন, আমি ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি জুয়া বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap