কলম শক্তি ডেস্ক ঃ সাম্প্রতিক বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ও আতংকের নামটিই হচ্ছে করোণা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে প্রতিনিয়ত যখন লাশের মিছিল ভারী হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী ভারতসহ যখন সারা বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতি এই ভাইরাসে বিপর্যস্ত, হরতাল ধর্মঘটের চাইতেও আরোও ভয়াবহ অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে যখন সারা দেশে চলছে লকডাউন, লকডাউনের ফলে মানুষ যেখানে জিম্মি হয়ে পড়েছে,মা মাটি আর মানুষ ও মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত,কর্মমুখী মানুষ যেখানে বেকার ও দূর্দশাগ্রস্থ, বিশাল এক কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে যেখানে সারা দেশ জাতি বন্দী এবং বন্দীদশা থেকে মুক্তির প্রতীক্ষায় যেখানে মানুষ প্রহর গুনছে, সেখানে মানুষের মনের জমিতে পল্লীসাহিত্যের বীজ বপনের মধ্যে দিয়ে এক বিশ্বাসের শিকড় গড়তে একজন গীতিকার রচনা করেছেন মাত্র ১টি গান। যে গানে তিনি দায়ী করেছেন জাতিসংঘ নামের বিশ্ব সংগঠণকে। মানবতা রক্ষায় যাদের এই মুহুর্তে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা থাকার কথা। তার রচিত গানটিতে করোনা নামক ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়ও বলে দেয়া আছে। আরো আছে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (স:) এর উপদেশবাক্য হাদিসের কথা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জের পঞ্চরত্ন বাউলের মধ্যমণি বাউল কামাল পাশার কথা। এই গানটির গীতিকারের নাম সাংবাদিক আল-হেলাল। বাংলাদেশের মরমী সংস্কৃতির জগতে একটি সাড়াজাগানো নাম আল-হেলাল। প্রকাশিত নাম হচ্ছে এটি। সার্টিফিকেট নাম আল-হেলাল মোঃ ইকবাল মাহমুদ। তার পিতার নাম এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল যিনি একজন যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, গীতিকার ও নাট্য অভিনেতা। তার মাতার নাম মরহুমা রোকেয়া বেগম চৌধুরী। তার স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভরারগাও গ্রাম। ১৯৭৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই গ্রামেই জন্মগ্রহন করেন তিনি। বর্তমানে স্বপরিবারে বসবাস করছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব সুলতানপুর আবাসিক এলাকায়। তিনি ১৯৯০ সালে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৯২ইং সালে দিরাই কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯৪ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার জাতীয় আইন কলেজে অধ্যয়ন করেন। আল-হেলাল ইতিপূর্বে বাংলাভিশন টেলিভিশন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক খবর, দৈনিক প্রাইম, দৈনিক মুক্তকন্ঠ, দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, দৈনিক মাতৃভূমি,দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক প্রভাত, দৈনিক সোনার আলো, দৈনিক খবরপত্র, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, জাতীয় সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক স্বর্ণালী ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক সিলেটবানী, দৈনিক সংলাপ, দৈনিক মানচিত্র, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক প্রভাতবেলা, সাপ্তাহিক পরিক্রমা, সাপ্তাহিক সময়ের ডাক, সাপ্তাহিক সিলেটের পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে,জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি,সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে গড়ে তুলেন বাউল কল্যাণ পরিষদ ও বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদ নামের ২টি সাংস্কৃতিক সংগঠণ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাগো সিলেট আন্দোলন এর প্রচার সম্পাদক, সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সংস্থার সহ সম্পাদক, দিরাই থানা উনśয়ন ও পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, দিরাই থানা উনśয়ন ও ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, ধর্ম ও তিকতা বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক, ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন সুনামগঞ্জ এর দিরাই থানা আহবায়ক,দিরাই প্রেসক্লাবের আহবায়ক,দিরাই-শাল্লা সাংবাদিক পরিষদ এর সভাপতি,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সহ-সভাপতি, মফস্বল সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি,কালনী বেতার স্রোতা ক্লাব এর সভাপতি,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জেলা গীতিকার ফোরাম এর সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ এর সাধারন সম্পাদক,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ শাখার নির্বাহী সদস্য এবং সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে অধিষ্টিত রয়েছেন। কর্মরত রয়েছেন স্থানীয় সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, দৈনিক আলোকিত সুনামগঞ্জ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও জাতীয় খবরপত্র পত্রিকা, বাংলাদেশ সমাচার, দৈনিক খবর, ইংরেজী আওয়ার টাইমস ও অনলাইন ওয়েবপোর্টাল বিডিটুডেস এর সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি কোয়ান্টাম ল্যাব শান্তিনগর ঢাকার আজীবন রক্তদাতা ও বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্ত্রের তালিকাভূক্ত একজন পল্লীগীতি শিল্পী। তার সম্পাদনায় সম্প্রতি প্রকাশ হতে যাচ্ছে সাপ্তাহিক মুক্তির সনদ ও সাপ্তাহিক হীরামন মানিকের দেশে নামে আরো দুটি পত্রিকা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে ১০১টি গান নিয়ে তিনি প্রকাশ করেন “গানের সম্রাট কামাল উদ্দিন”নামে একখানা গীতিগ্রন্থ। পরবর্তীতে “শ্রেষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত”,“রাজনীতির রবার্ট ব্রুস মতিউর রহমান”,“ভোটযুদ্ধে মমতাজ ইকবাল” ও “মডেল মানুষ মমিনুল মউজদীন” ও সুনামগঞ্জের সোনার মানুষ মুহাম্মদ আব্দুল হাই”সহ আরো অনেক জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন তিনি।বিভিন্ন সময়ে বাউল কামাল পাশার শত শত গান নিয়ে পত্রিকা সম্পাদনা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেন তিনি। একজন গীতিকার হিসেবে তিনি রচনা করেছেন প্রায় শতাধিক গান। সম্প্রতি সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপির সামনে তাৎক্ষনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুনকীর্ত্তণ করে একটি গান লিখে দিয়ে ও গেয়ে জেলা প্রশাসক ও সমবেত সাংবাদিক জনতাকে হতবাক করে দেন তিনি। আল-হেলাল ২০১৪ ইং সনের ৩রা জুন সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা এলাকার সদরপুর নামক স্থানে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। একজন পেশাদার সাংবাদিক ও বাউল শিল্পী হিসেবে জেলার সকল সংসদ সদস্যগনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাউল শিল্পীর স্বীকৃতিসহ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। নিম্ন বাউল কামাল পাশার গানের সুরে ৬ অন্তরায় লিখিত আল-হেলাল রচিত গানটি প্রকাশ করা হলো। “কোথায় রইলো জাতিসঙ্গ মানুষ মরে দেশে দেশে করোণা ভাইরাসে রে মন করোণা ভাইরাসে।। কোথায় আছে বাঁচার ওষুধ,মানুষ মরে দেশে দেশে।। সার্স সোয়াইনফ্লো ইবোলা, কোবিড-১৯ দেয়রে জ্বালা হরেক রকম ভাইরাসের খেলা,আকাশে বাতাসে। কেউ যদি ধরিতে চায় সাহসের খায়েশে অনায়াসে যাবে মারা,বাঁচবেনা ভক্তি বিশ্বাসে।। কেউ বলে প্রকৃতি প্রদত্ত, কেউ বলে মানব সৃষ্ট আসলে সে অদৃশ্য,ভর করে শরীরে। শ্বাস প্রশ্বাসে আসে যায়,মহামারী রুপ ধরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভাল বলছেন নবী হাদিসে।। লকডাউন হলো বাংলা, ১৪ দিনের লাগলো তালা ১৪ ম্যাসেজ মেনে চলা, সরকারী নির্দেশে। আসা যাওয়া হবে বারণ থাকবে বদ্ধ ঘরে সেনা পুলিশ র্যাবের টহল,যাবে তরে অনায়াসে।। বলছেন নেত্রী শেখ হাসিনা, করোণাকে ভয় করোনা সকলে সচেতন হউনা, ১৪ বার্তা মেনে। সামাজিক দূরত্ব জেনে থাকো জনে জনে কেটে যাবে বালা মুছিবত,মুক্ত হবে অবশেষে।। বলছেন বাউল কামাল পাশা, মানুষকে চাই ভালবাসা ঘুচে যাবে সকল হতাশা,মানবতার তরে/আধার যাবে দূরে। কঠিন বিপদ মনে করে দাড়াও এক কাতারে রক্ষা করো মানবজাতি,করুনা চাই খোদার কাছে।। দম সাধন করলে দেহায়,পালাবে সে অন্য জায়গায় আরো ভাল ডাক্তারের সেবায়,ঔষাধি সেবনে। আল-হেলালের এই আহবাণ বলি সবার সনে হোকনা যত কঠিন ভাইরাস,লড়তে হবে মিলেমিশে”।