সারাদেশ

মরদেহ আসছে না সিলেট, ঢাকায় দাফন

কলম শক্তি ডেস্ক ঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের মরদেহ সিলেটে না এনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রমণ বিধি অনুযায়ী ঢাকায় দাফন করা হবে। বিষয়টি সিলেট ভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা আনিসুর রহমান। তিনি আরও জানান, ডা. মোইন আগে থেকেই ভেন্টিলেটরে ছিলেন। সংক্রমণ তার হার্টে ছড়িয়ে পড়েছিলো কাল রাত থেকে। তাই তার শরীর বেশি খারাপ করে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে সাতটায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকালে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’ ডা. মঈন উদ্দিনের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে চিরবিদায় নিলেন তিনি। ডা. মঈনের স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। সিলেটের হাউজিং এস্টেট এলাকায় তাদের বাসা। প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল সিলেটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত রোগী হিসেবে এই চিকিৎসককে সনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর বরাত দিয়ে ওই রোগীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল। তখন তিনি জানান, আক্রান্ত চিকিৎসক বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার তার রক্তের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করলে রোববার বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানানো হয়। তবে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও সে সময় জানান সিভিল সার্জন। তখন থেকেই তিনি বাসায় সেলফ আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডা. মঈন উদ্দিন সিলেটে কর্মরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন সিলেটের সিভিল সার্জন। পরে ৭ এপ্রিল রাতে তার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে আশঙ্কাজনক বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়। তবে পরদিন ৮ এপ্রিল সকাল থেকে তিনি একটু ভালো ছিলেন বলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানালেও পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এই চিকিৎসককে। সেদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেখানেই ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সকাল পৌনে সাতটায় তিনি মারা যান।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap