
আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ : এবার বহির্জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনার গণবিজ্ঞপ্তি জারী করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক। বিষয়টিকে অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর উল্লেখ করে নিজের ফেইসবুকে দেয়া ঐ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেছেন,বর্তমানে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে বিরাজমাণ করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় অভিবাসী শ্রমিক স্বল্পতার কারণে বর্তমান অর্থবছরে এ বছর ধান কাটার অগ্রগতি মন্থর। অপরদিকে বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র বাপাউবো হতে প্রাপ্ত তথ্যমতে আগামী ১৭ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতসহ আগাম বন্যার পূর্ভাবাস রয়েছে এবং পরবর্তীতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারনে ধান কাটার যন্ত্রপাতির কর্মদক্ষতা কমে আসবে বিধায় স্থানীয় শ্রমিক ও অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন স্থানীয় কার্যক্রম (বালু পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ,ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ও গণপরিবহন চালু না থাকায় এসকল কাজের নিয়োজিত স্থানীয় শ্রমিক,বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী,স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান কাটতে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসাথে পর্যাপ্ত সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুনামগঞ্জে আনয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হলো। উল্লেখ্য এর আগে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলায় আবাদকৃত বোরো ধান দ্রæত কাটার নির্দেশ দিয়েছেন এই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। ১৩ এপ্রিল সোমবার জেলা প্রশাসক তার ফেইসবুক পেইজে আগাম বৃষ্টি ও বন্যা পূর্বাভাস সংক্রান্ত এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক এ আহবাণ জানান। জেলা প্রশাসক বলেন,বাংলাদেশ ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৭-২০ এপ্রিল মেঘালয় ও ভারত অববাহিকায় ১০০-১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা বিদ্যমান। এতে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের প্রধান নদীসমুহের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এবং কোন কোন স্থানে নদীর পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বর্ণিত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওরের আবাদকৃত বোরো ধান অতিদ্রæত কাটার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি । একইসাথে ডুবন্ত বাঁধের কাজ বাস্তবায়নের সাথে জড়িত মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পিআইসিসহ সকলকে নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থানগ্রহনপূর্বক নিবিড় মনিটরিং জোরধার নিশ্চিত করার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন। বিশেষ করে যেসব ঝুকিপূর্ণ ক্লোজার পয়েন্ট রয়েছে সেসব স্থানে সংশ্লিষ্ট পিআইসিদের উপস্থিতি ও সার্বক্ষনিক মনিটরিং নিশ্চিত করারও আহবান জানান। জেলা প্রশাসক আরো বলেন,বাঁধের কোন অংশে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিলে বা ভেঙ্গে গেলে তাৎক্ষনিকভাবে তা মেরামত করতে হবে। প্রয়োজনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী,উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগনকে জানানোর জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টিকে অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ মনে করে যাবতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচার প্রসার করত: গণ সচেতনতা গড়ে তোলার আহবান জানান জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ।