শাল্লায় যুবলীগ নেতার তদারকিতে উন্নয়ন কাজে অনিয়ম

শাল্লা প্রতিনিধি- সুনামগঞ্জের শাল্লায় চলতি অর্থ বছরে এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী) খাতে উন্নয়নমূলক কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগ নেতার তদারকিতে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও মডেল স্কুল সংলগ্ন রাস্তাটি মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অতি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করা হয়েছে। এই কাজে যুবলীগ নেতার তদারকি থাকায় ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ভয়ে মুখ খুলছেনা কেউ। অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজটি পেয়েছিল হাজী মজু মিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ জনি মিয়া। জানা যায়, শাল্লা এলজিইডি’র একটি প্যাকেজে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সাতটি কাজের মধ্যে আনন্দপুরের একটি ঘাটলা ও উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের রাস্তার কাজ যুবলীগ নেতা ফেণিভূষণ ও রতনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। আর এ কাজ দু’টি ভাগিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন শাল্লা এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় কাজ করছে। এখানে মানা হচ্ছে না কোনোরূপ সামাজিক দুরত্ব। তাছাড়া রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে খুবই নিম্নমানের মালামাল। সেইসাথে কোনোরূপ ধোয়া-মুছা ছাড়াই গাছের ডালপালা ও পাতাসহ ময়লাযুক্ত মালামাল দিয়ে তড়িগড়ি করে রাস্তার ঢালাই করছে শ্রমিকরা। নির্মাণ কাজের সাইটে এলজিইডি’র কার্যসহকারি মোঃ তকবির হোসেনকে সামনে রেখেই চলছে এমন অনিয়ম। পাশেই বসে থাকা যুবলীগ নেতা ফেণিভূষণ সরকার বলেন, এটা আমাদের গ্রামের কাজ, গ্রামবাসির অভিযোগ নেই তোমাদের কি সমস্যা। কাজের বিষয়ে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের হেমসেন সরকার ও সুবির সরকার বলেন, খুবই নি¤œমানের কাজ হয়েছে। আমরা নিষেধ করেছি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ না করতে। এখন বৈশাখ মাস হওয়ায় আমরা খুবই ব্যস্ত, তাই আমাদের দ্বারা তদারকি করা সম্ভব হয়নি বিধায় ঠিকাদারের লোকজন এরূপ কাজ করছে। কাজের ডকুমেন্টারি বিষয়ে জানতে বার বার এলজিইডি অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। এমনকি দু’দিন ধরে এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামানকে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে এলজিইডি’র অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মোঃ ইফতেকার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি দিরাইয়ে আছি। আমি এখনই উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামানকে বলে দিচ্ছি। এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজে অনিয়মের খবর পেয়ে আমি পরিদর্শন করেছি। আসলেই রাস্তার কাজটি নিম্নমানের হয়েছে।