সবাইকে ধান কাটায় অংশ নিতে প্রশাসনের আবেদন, দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটার কাজে তীব্র শ্রমিক সংকট, ২৭ এপ্রিল নাগাদ আগাম বন্যার আশংকা জানিয়ে প্রশাসনের বার্তা, পাশাপাশি কালবৈশাখীর তর্জন গর্জনে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কৃষককূল। হাওর ভরা পাকা ধান গোলায় তুলতে পারবেন কিনা সেটাই এখন কৃষকের সামনে বড় প্রশ্ন।দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাওরের ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য আহবান জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান। শ্রমিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে প্রশাসনের নির্দেশে দিরাইয়ে দিনের বেলা দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬ টা হতে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত কৃষিজাত পণ্য নির্মাণ ও মেরামতকারী ওয়ার্কশপ ও ওষুধের দোকান ব্যতিত উপজেলার সকল হাটবাজারের অন্য সব ধরণের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখা যাবে, অন্যসব দোকান যথারীতি বন্ধ থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ জানান, ২৭ এপ্রিল বন্যার পূর্বাভাস থাকায় বুধবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ধান কাটার সহযোগিতায় দিরাই উপজেলার সকল দোকান (ফার্মেসী আর ওয়ার্কসপ ব্যতীত) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত আগের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জানিয়ে ইউএনও সকল শ্রেণিপেশার লোকজনকে হাওরের পাকা ধান কেটে কৃষককে সহযোগিতার আহবান জানান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, ধান কাটার শ্রমিক সংকট দূর করতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। আগাম বন্যার শঙ্কা রয়েছে। তাই হাওরে ধান কাটার জন্য ব্যবসায়ীসহ সম্প্রতি বেকার হয়ে পড়া লোকজনকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হাওরে শ্রমিক সংকট দূর করতে স্থানীয় কৃষক, স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী, আনসার সদস্য, ব্যবসায়ীসহ কর্মহীন মানুষ এগিয়ে এলে, আশা করছি দ্রুত হাওরের ধান তোলা সম্ভব হবে।