গভীর রাতে সুরঞ্জিত দাশের পরিবারের পাশে ওসি নজরুল

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুরঞ্জিত দাশ চাকরি করতেন গার্মেন্টসে। থাকতেন নারায়ণগঞ্জ। করোনা তার সংসারে বিপদ বয়ে এনেছে। রাস্তায় ছয়গুণ ভাড়া দিয়ে নিরুপায় হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ফিরেন চব্বিশ এপ্রিল। একদম খালিহাত। এসেই থানা-পুলিশের কথামতো দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারান্টাইনে থাকেন উজানধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারের সবকিছু মানছেন। একদম সরকারের নিয়ম যথাযথ মেনে চলছেন। কিন্তু একবিন্দু ত্রাণ বা সাহায্য এপর্যন্ত পাননি। তিনি প্রশ্ন করেন, শুনলাম সরকারি-বেসরকারি বহু ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে গরিবদের। তাইলে আমারটা কী পাবো না? অসহায় সুরঞ্জিতের এমন দুর্দশার চিত্র উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বৃহস্পতিবার (৭ মে) একটি পোস্ট করেন উজান ধল গ্রামের সমাজকর্মী দোলন চৌধুরী। তাঁর এই পোস্ট দৃষ্টিগোছর হয় দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুলের। গভীর রাতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ত্রাণ সহায়তা নিয়ে হাজির হন উজান ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যেখানে প্রশাসনের নির্দেশনায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে সুরঞ্জিত দাশের পরিবার। ত্রাণ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তাও দেন ওসি। থানা পুলিশের এমন মানবিক কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দোলন চৌধুরী বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মানবিক আচরণ, দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা মানুষের হৃদয়ে মারাত্মক নাড়া দিয়েছে। এটা মানুষ ভীষণভাবে অনুধাবন করেছে। সুরঞ্জিত দাশকে নিয়ে লেখা আমার পোস্টটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব কে এম নজরুল সাহেবের। সঙ্গে সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করে তিনি কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ স্বশরীরে এসেছেন উজানধল গ্রামে। সুরঞ্জিতের বিস্তারিত খবরাখবর নিয়েছেন এবং ত্রাণ দিয়েছেন। সাথে কিছু আর্থিক সাহায্যে ও করেন।