জাতীয়সারাদেশ

বাউল রণেশ ঠাকুরের বাস্তুভিটা পরিদর্শনে ডিসি এসপি

বিশেষ সংবাদাতা ঃ বুধবার (২০ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে গিয়ে বাউল রণেশ ঠাকুরের বাস্তুভিটা পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক ঘর তোলার জন্য ৩ বান টিন বরাদ্দ দিয়ে তার আসরঘর করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি বাউলের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এখনো মর্মাহত। আমরা তাকে নগদ সহায়তার পাশাপাশি টিনও দিয়ে এসেছি। সরকারিভাবে আমরা তার আসরঘর তৈরি করে দেব। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বাউলের ঘর পোড়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে এক যুবককে আটক করেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাউলের ঘর ও যন্ত্রাংশ যারা পুড়িয়ে দিয়েছে আমরা তাদের সবাইকে খুঁজে বের করব। উল্লেখ্য, রোববার (১৭ মে) দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় শাহ্‌ আব্দুল করিমের অন্যতম শিষ্য বাউল রণেশ ঠাকুরের গানের আসরঘরটি। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাঁর এবং তাঁর শিষ্য সামন্তের ঢোল, ছইট্টা, দোতরা নানা বাদ্যযন্ত্র। প্রয়াত রুহী ঠাকুরের সহোদর রণেশ ঠাকুর একজন দেশ-বিদেশে সুনামধন্য কণ্ঠশিল্পী। দুই ভাই ছিলেন বাউল সম্রাট শাহ্‌ আব্দুল করিমের অন্যতম শিষ্য বাউল। ওস্তাদ শাহ্‌ আব্দুল করিম ও বড় ভাই রুহী ঠাকুর মারা যাবার পর ভাটি অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে যে কজন বাউল জনপ্রিয় এরমধ্যে অন্যতম রণেশ ঠাকুর।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap