দিরাই মধ্য বাজারে আগুন, বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর সদরের মধ্য বাজার। স্থানীয়ভাবে কাপড়ের গলি নামে সমধিক পরিচিত। দুপাশে সারি সারি দোকানপাট। এই গলিরই হাজী মুক্তার ম্যানশনের দু’তলায় বাজারের সুপরিচিত ব্যবসায়ী প্রয়াত শ্রীকান্ত রায়ের ছেলে ব্যবসায়ী সুশান্ত রায়ের গুদামঘরে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার ভরদুপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকান্ডস্থলের সন্নিকটে অগ্রণী ব্যাংকের দিরাই শাখা কার্যালয়সহ সারি সারি দোকানপাট ছিল। আগুন নেভাতে আসা স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গুদামঘরে সাইট্রিক এসিডসহ বিভিন্ন ধরণের দাহ্য বস্তু ছিল, রাতের বেলা অগ্নিকান্ড হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও এর আগেই ঘর থেকে ধোয়া বের হতে দেখে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল, পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, মহাজন সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহসভাপতি নুরুল হক, কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী, কামনাশীষ রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
অগ্নিকান্ডে অনুমান ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ধারণা করছি বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। গোডাউনে সাইট্রিক এসিডসহ বিভিন্ন ধরণের দাহ্য বস্তু ছিল। ভবনটির অবস্থান বাজারের সরু গলিতে, রাতের বেলা এই অগ্নিকান্ড হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো।
এদিকে এঘটনার পরপর স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন দিরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কার্যক্রম চালু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান।