
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ও হতাহতদের আর্থিক সহায়তা এবং সুচিকিৎসার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ২০০৪ ইং সনের ২১ জুন দিরাই মধ্যবাজার জগন্নাথ জিউর মন্দির পয়েন্টে আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে জনসভা চলাকালীন ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। বর্বোচিত হামলায় গ্রেনেডের আঘাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী আব্দুল ওয়াহিদ মারা যান। আহত হন আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সিরাজ উদ দৌলা, পরিতোষ রায়, আজমান আলী, আলতাব উদ্দিন, সুজাত আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল খালেক চেয়ারম্যান, নুরুল ইসরাম সরদার, প্রভাকর চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। আহতদের অনেকেই গ্রেনেডের বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারকাজ আজও সম্পন্ন হয়নি। গ্রেনেড হামলায় হতাহতরা পাননি সরকারি কোন পৃষ্টপোষকতা। মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন ও আর্থিক সহায়তার দাবী নিয়ে সোমবার বিকেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হতাহত পরিবারের সদস্যদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেনেড হামলায় আহত উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা জানি ওই সময়ে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুচিকিৎসা ও আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও দিরাইয়ে দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় হতাহতরা এপর্যন্ত নুন্যতম কোন সহায়তা পাননি। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সম্পন্ন করার পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সিরাজ উদ দৌলা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়, গ্রেনেড হামলায় নিহত আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রীসহ হতাহত পরিবারের সদস্যরা।