দিরাইয়ে সম্বল হারিয়ে কৃষকের আহাজারি

স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আধঘন্টার মধ্যে ৪ টি সুস্থ্য গবাদিপশু আচমকা মারা গেছে। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ২ লক্ষ টাকা মুল্যের একমাত্র সম্বল হারিয়ে বাকরুদ্ধ গরুগুলোর মালিক রাধারনগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী মিয়া। শিশুদের ন্যায় হাউমাউ করে কাঁদছেন তিনি। জানা যায়, রাধারনগর গ্রামের জিলু মিয়ার মালিকাধীন মাছের খামারে যৌথভাবে মাছ চাষ ও খামার দেখাশোনা করেন মোহাম্মদ আলী। পুকুরের পাড়ে তার গরুগুলোকে নিয়মিত ঘাস খাওয়ান। প্রতিদিনকার ন্যায় আজ (শনিবার) সকালে বাড়ি থেকে গরুগুলো এনে ঘাস খেতে পুকুর পাড়ে ছেড়ে দেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে একটি গরু মাটিতে পড়ে ছটপট করতে থাকে এবং মারা যায়। এসময় বাকি গরুগুলোর খোঁজ করে আরও তিনটি গরু মৃত অবস্থায় পাাওয়া যায়। খামারের মালিক জিলু মিয়া জানান, খামারে আমার সাথে মোহাম্মদ আলী পার্টনারশিপ আছেন। উনিই খামার রক্ষণাবেক্ষণ করেন। আমরা পুকুর পাড়ে কোন ধরণের কীটনাশক কিংবা সার প্রয়োগ করিনি। কাঁদতে কাঁদতে কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। দুপুরের কিছু আগে আমার ছেলে গরুগুলোকে গোসল দিয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই গরুগুলো মরে যায়। কিভাবে মারা গেলো সেটাই বুঝতে পারছি না। পুকুর পাড়ে কীটনাশক কিংবা সার দেওয়া হয়নি বলেও জানান মোহাম্মদ আলী। স্থানীয় প্রাণীসম্পদ চিকিৎসক মো. ইদু খান বলেন, সংবাদ পেয়ে গিয়ে দেখি গরুগুলো মারা গেছে। মৃত গরুগুলোর মুখে ও নাকে লালা এবং পেট ফুলা ছিলো। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বাবরা হ্যামলিন বলেন, মাটিতে বৃষ্টির পানি পড়লে নতুন যে ঘাসের পাতা বের হয়, তাতে নাইট্রেট নামক একধরণের পয়জন থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই ঘাসগুলো খেলে গবাদিপশুর নাক মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে পেট ফুলে মারা যায়। ধারণা করছি, নাইট্রেট পয়জনিংয়ের কারণেই গরুগুলো মারা গেছে।