দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ১৬ বছর আজ
বিশেষ সংবাদদাতা ঃ আজ ২১ জুন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ১৬ বছর পূর্ণ হলো। বিগত ২০০৪ সালের ২১ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দিরাই মধ্যবাজার জগন্নাথ জিউর মন্দির পয়েন্টে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে জনসভা চলাকালীন ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি ঘটে। বর্বরোচিত হামলায় গ্রেনেডের আঘাতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আব্দুল ওয়াহিদ মারা যান। আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সিরাজ উদ দৌলা, পরিতোষ রায়, আজমান আলী, আলতাব উদ্দিন, সুজাত আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল খালেক চেয়ারম্যান, নুরুল ইসরাম সরদার, প্রভাকর চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। আহতদের অনেকেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে বহন করে বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মানবেতর জীবনযাপন করছে নিহত যুবলীগ কর্মী ওয়াহিদের পরিবার। দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারের কাজ আজও সম্পন্ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার বার বার ক্ষমতাসীন থাকলেও গ্রেনেড হামলায় হতাহতরা পাননি সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা। গ্রেনেড হামলায় আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ বলেন, ‘গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে টানা তিনদিন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। একনাগাড়ে তিনমাস সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হলেও গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্লিন্টার আমার শরীরে বহন করে চলেছি। আমরা জানি ওই সময়ে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের সুচিকিৎসা ও আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় হতাহতরা এ পর্যন্ত ন্যুনতম কোনো সহায়তা পাননি। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’ মামলার সাক্ষী এডভোকেট সোহেল আহমদ বলেন, ‘মামলাটি এখনও শেষ হয়নি। সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় আছে। আমরা দুইবার সাক্ষী দিয়েছি।’ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন ও আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজ উদ দৌলা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, গ্রেনেড হামলায় নিহত যুবলীগ কর্মী ওয়াহিদের স্ত্রী শাহানারা বেগম তার দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।