জাতীয়সারাদেশ

দিরাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসায় বন্যা দেখা দিয়েছে সুনামগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ভাটি অঞ্চল দিরাই উপজেলায়। এরইমধ্যে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশকিছু সড়ক বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকে হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় বসতি স্থাপনকারি সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। পানিবন্দি মানুষ সবচে বেশী বিপাকে পড়েছেন নিজেদের গবাদিপশুগুলো নিয়ে। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়িঢলে প্লাবিত সুনামগঞ্জ জেলা শহরের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলায় বহমান কালনী নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাত থেকে নদী ও হাওরের পানি উপচে তীরবর্তী গ্রামগুলোসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দিরাই পৌর সদরসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের নিচু বাড়িঘরে বন্যার পানি উঠে পরেছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে অনেক মৎস্যচাষিদের পুকুরের মাছ। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, এ পর্যন্ত বন্যায় ৬৭টি বড় ও ১০ টি ছোট পুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় নব্বই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান তালুকদার জানান, তাঁর ইউনিয়নের তেতৈয়া, হাতিয়া, কুলঞ্জ, তারাপাশা, রাড়ইলসহ বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি উঠেছে। বাড়িঘর তলি যাওয়ায় কিছু পরিবারকে হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ জানান, তাঁর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামেই বানের পানি উঠেছে। আক্রান্ত পরিবারগুলো তাদের গবাদিপশুগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর উপজেলা সমন্ময়কারী রিপন আলী জানান, আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত কালনীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহর দিয়ে বহমান সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপরে রয়েছে, সেই পানি এদিক দিয়ে নামতেছে। যে কারণে বৃষ্টি না হলেও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সফি উল্লাহ জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষনিক সহযোগীতার জন্য জি.আরের ৪৫০ মেঃটঃ চাল ও ২লক্ষ ৯৭হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap