করোনা ও বন্যায় সার্বিক খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি এবং মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক অনলাইন সংলাপ

দিরাই প্রতিনিধিঃ কেয়ার বাংলাদেশ কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের উদ্যোগে সংবাদ কর্মীদের জন্য “করোনা সংক্রমণ ও সাম্প্রতিক বন্যায় সার্বিক খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি এবং মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা”বিষয়ক অনলাইন সংলাপের আয়োজন করে। সোমবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে সংলাপে সুনামগঞ্জ জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি ও জেলার ১১টি উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির অন্তর্ভ’ক্ত সকল সাংবাদিক সদস্যবৃন্দ অনলাইনের মাধ্যমে যোগদান ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ, কেয়ার বাংলাদেশ এর টিম লিডার নাজনীন রহমান শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সুনামগঞ্জের খবর এর সম্পাদক পঙ্কজ দে এবং প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ। সংলাপে এম হাফিজুল ইসলাম, সিনিয়র টেকনিক্যাল কে-অর্ডিনেটর –এডভোকেসি এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ, কেয়ার বাংলাদেশ কভিড ১৯ পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক বন্যার উপর দু’টি ভিডিও প্রদর্শন ও আলোচনার সূত্রপাত করেন। মোঃ হসানউজ্জামান টেকনিক্যাল ম্যানেজার কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ, কেয়ার বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস ও দীর্ঘমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রভাব বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। একাত্তর টিভি এবং কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম কভিড-১৯, বন্যা পরিস্থিতি ও জেলা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে বলেন বিগত ৫ মাসের মধ্যে সারা জেলার সকল সাংবাদিকদের নিয়ে এতবড় ফোরাম এর আগে অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই কেয়ার বাংলাদেশকে এই সময়োপযোগী আয়োজন করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন সাংবাদিকদের এই প্রচেষ্টা চলমান থাকলে সুনামগঞ্জে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল হবে । সংলাপে সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী, খলিলুর রহমান, জিয়াউর রহমান লিটন, আব্দুল আলীম, সেলিম আহমদ, মোঃ আব্দুল হাই প্রমূখ গুরুত্বপূর্ন আলোচনা, মতামত ও সুপারিশ প্রস্তাব করেন। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে আইনুল ইসলাম বাবলু, মোঃ আকরাম হোসেন, মোঃ বুরহান উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, স্বপন কুমার বর্মন, সালেহ আহমদ, চিত্তরঞ্জন গোস্বামী, মোঃ আমিনুল ইসলাম, বাবরুল হাসান বাবুল, রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, হাবিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান লিটন, বকুল আহমেদ তালুকদার, পীযুষ শেখর দাস, শান্ত কুমার তালুকদার, শংকর রায়, অমিত দেব, আব্দুল হাই, কাজী মোহাম্মদ জমিরুল ইসলাম মমতাজ, মোঃ নুরুল হক, হোসাইন আহমদ, সোহেল তালুকদার, মোঃ ওয়ালিউল্লাহ সরকার, আকবর হোসেন, হাবিবুর রহমান, সালেহ আহমেদ, ইমাম হোসেন, সেলিম আহমদ, এনামুল হক এনি, আমীর আলী, বিজয় রায়, এমএ মোতালেব ভ’ঁইয়া,মোঃ আশিক মিয়া ও এম এ করিম লিলু সহ মোট ৩৫ জন সংবাদ কর্মী সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। কেয়ার বাংলাদেশ কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসারদের মধ্যে মোঃ নাজমুল হাসান, মোঃ আব্দুল আলীম, মোঃ আব্দুস শুকুর, মোঃ আলাউদ্দিনহোসেন এবং শ্রী অরূপ রতন দাশ উক্ত কর্মশালায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কারিগরী সহযোগীতায় ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশ এর আইটি অফিসার একরামুল হক ও প্রজেক্ট সাপোর্ট অফিসার সুমন কুমার দাস। অনলাইনভিত্তিক এই কর্মশালাটি সঞ্চালন করেন এম হাফিজুল ইসলাম, সিনিয়র টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর এডভোকেসি এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ, কেয়ার বাংলাদেশ।বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫ এর আলোকে জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫ বাস্তবায়ন করছে। উক্ত পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি ভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুষ্টি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে কেয়ার বাংলাদেশ কাারিগরী সহযোগীতা প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি জেলা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ২০১৯-২০ই সালের জন্য একটি বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। কিন্তু কভিড-১৯ এবং সাম্প্রতিক বন্যা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ধরনের বাঁধার সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি উত্তরনে সকলের কম-বেশী ভ’মিকা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যম সমাজের দর্পন এবং উন্নয়নের অংশীদার। পুষ্টি উন্নয়নেও রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।