দুর্দিনের নুরুল হুদা মুকুট এবং কিছু কথা
পাভেল আহমেদ :: দলের চরম দুঃসময়ে,জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন তিনি সবার প্রিয় নুরুল হুদা মুকুট। তিনি আওয়ামীলীগের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে,দীর্ঘ ১৮ বছর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিল তিল করে পুরো সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগকে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অগাধ আস্থা, বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে, সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে ছুটে চলেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেবের অত্যন্ত স্নেহধন্য ও কাছের মানুষ ছিলেন আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট। জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেব নেতা সিলেকশনে যে ভুল করেন নি, আজ অবধি সেই সাক্ষর রেখে চলেছেন নুরুল হুদা মুকুট । সুনামগঞ্জবাসি জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেবের ছায়া যার মধ্যে দেখতে পান তিনি নুরুল হুদা মুকুট। নুরুল হুদা মুকুটের ছিলো আদর্শিক চেতনা ও সাহস। তিনি কঠিন দুঃসময়েও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে, সুনামগঞ্জের রাজপথ দখলে নিতেন। সেই সময় বি,এন,পি জামায়াতের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তিনি। কোন ভয়ভীতি শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে তাকে চুল পরিমাণ ও সরাতে পারেনি। ১/১১ সময় নেত্রীর বিরুদ্ধে যখন ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো, তখন নুরুল হুদা মুকুট শেখ হাসিনার প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। সে জন্য ১/১১ এর সময় তিনি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ১/১১ এর সময় সারাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে যখন জেলা, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের জড়ো করা হয়েছিলো, বড় বড় নেতারা যখন বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে মাইনাস করে নির্বাচন করার জন্য, তখনকার সময় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট দাড়িয়ে বলেছিলেন নো হাসিনা নো ইলেকশন। মুকুট ভাইদের মতো শেখ হাসিনার পরিক্ষিত কর্মীদের জন্যই উচ্চাভিলাষী নেতাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন হয়নি।সুনামগঞ্জের রাজপথ দুঃসময়, সুসময়ে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত করতে, আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের বিকল্প নেই। সুনামগঞ্জে তৃনমুল নেতাকর্মীদের বিশ্বস্ত ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট।
লেখকঃ সাবেক ছাত্রনেতা