সারাদেশ

দুর্গন্ধ সইতে না পেরে অসুস্থ পিতাকে হত্যা

পিতাকে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিলো পাষণ্ড পুত্র। বলে, গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত বাবার পায়ের দুর্গন্ধের যন্ত্রনা সইতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে উচ্চসম্পন্ন ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বাবা আব্দুস সালাম মাতব্বরকে হত্যা করেছি। শুধু তাই নয়, আর কেউ যাহাতে বাবাকে খুঁজে না পায় সে কারনে বাবার বস্তাবন্দি লাশের সঙ্গে ইট ঝুলিয়ে ওই বস্তা কুমার নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছি। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ সাইদুর রহমান খাঁন সাংবাদিকদের বলেছেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন পুরুষের লাশ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নিহতর ছেলে আব্দুস সালাম মাতব্বরকে আমরা গ্রেপ্তার করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। পিতা হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছে খুনি পুত্র। ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে সে পরিস্কারভাবে বলেছে, তিন মাস ধরে গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরে বসে থাকা নিহত আব্দুস সালাম ও তার ছেলে হুমায়ুন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একই ছাদের নিচে বসবাস করতেন। তার কথিতমতে হত্যাকান্ডের আগে বাবার পায়ের পচা দুর্গন্ধের যন্ত্রনা সইতে না পেরে তার স্ত্রী. সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। নানান সময়ে বাবার বিভিন্ন ফরমায়েশ শুনতে শুনতে ছেলে হুমায়ুন অতিষ্ট হয়ে পড়ে। গত ৭ই আগষ্ট ভোর রাতে বাবা আব্দুস সালাম মাতব্বরের রোগের ব্যাথা বাড়ে। পরে ঘরে থাকা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাথানাশক অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিও প্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত মাত্রায় খাইয়ে বাবার পায়ের ব্যাথা কমিয়ে আনে ছেলে হুমায়ুন। কিছুক্ষনের মধ্যে বাবা আব্দুস সালাম মাতব্বর চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। নিশ্চিত বাবার মৃত্যু হয়েছে এমনটা ভেবেই ছেলে হুমায়ুন বাবার লাশ একটি বস্তার ভেতরে ভরে এবং বস্তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইট বেধে লাশ কাধে করে নদীতে ফেলে দেয়।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap