সারাদেশ

ধর্ষককে গোপনে সহযোগিতা প্রকাশ্যে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শাস্তি দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশের হাত থেকে রক্ষায় ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাটিংয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন দিরাইয়ের কতিপয় ছাত্রলীগ নেতা। ওই গ্রুপ চ্যাটিংয়ে কথোপকথনের স্কীনশর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ছাত্রলীগের ধর্ষণবিরোধী মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে কথিত এসব ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্নজন ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করছেন। তাদের শাস্তির দাবী তুলেছেন কেউ কেউ। শুক্রবার দিরাইয়ে বিষয়টি ছিল টক অব দ্যা টাউন।

অভিযোগ উঠেছে, শুরু থেকেই ধর্ষক রবিউলকে বিভিন্ন কৌশলে আশ্রয় দেওয়াসহ তাকে পালানোরও সুযোগ করে দেয় ছাত্রলীগের এসব নেতা।

জানাগেছে, জগদল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ গ্রুপ নামে একটি মেসেঞ্জারে গ্রুপে রবিউল তার অনুসারীদের মধ্যে কথা হয়। এতে দেখা যায়, আহমেদ জানে আলম নামে জগদল ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে রবিউল কথা বলে” যেখানে রবিউল কে উদ্দেশ্য করে আহমেদ জানে আলম বলে, ‘রবিউল মামা তোমার মোবাইল টা বন্ধ করে রাখও, বর্তমান সিম বন্ধ করে নতুন কোনো সিম ব্যবহার কর। রিগান নামে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘রবিউল মামা তুমি বাড়িত আইছ নি? তোমার আইডিটা কিছুদিনের জন্য এনএক্টিভ করে দাও, এবং তুমি একটু সেইভ থাকিও। ছাত্রলীগের আরেক কর্মী বলেন, রবিউলকে আজকের মধ্যেই ধরার ঘোষণা দেওয়া হইছে, তাই তাকে আরও সাবধান হওয়া দরকার। একটি গ্রুপ মেসেঞ্জার চ্যাটিংয়ের এই বার্তাগুলো ভাইরাল হবার পর থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ফেসবুকে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুলেন।

স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানাগেছে, গ্রেফতার এড়াতে রবিউল ঘটনার পরপরই নিজ এলাকায় প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে আশ্রয় নেয়, একপর্যায়ে হাওর পাড়ি দিয়ে গভীর রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তি আকিলশাহ হয়ে বোয়ালিয়াবাজার এবং নবীগঞ্জ থানায় আশ্রয় নেয়, এরপর নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সে।

ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বললে তারা জানান, জানে আলক ছাত্রদল করতো। কয়েকমাস হয় ভোল পাল্টে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এসব অনুপ্রবেশকারীরাই ছাত্রলীগের দুর্নাম ডেকে আনছে জানিয়ে নেতাকর্মীরা আরও বলেন, নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য দিরাইয়ে রবিউলের সহযোগী এসব নামধারী ছাত্রলীগ নেতারা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রম চালায়। যারা গোপনে ধর্ষককে সহযোগিতা করে আর প্রকাশ্যে ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচিতে মোমবাতি হাতে রাজপথে দাঁড়ায় এরা কখনোই ছাত্রলীগের আদর্শে আদর্শিক হতে পারে না।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap