আজ ৭ ডিসেম্বর ‘দিরাই মুক্ত দিবস’

দিরাই- প্রতিনিধি: আজ ৭ ডিসেম্বর, দিরাই মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা দিরাই ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে শহীদ হন তৎকালীন সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তালেব উদ্দিন সহ ১৩ বীর সৈনিক। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ৯ দিন আগেই জয় হয় দিরাইবাসীর। জানা যায়, ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায় পাক হানাদাররা। খবরটি জানাজানি হলে দিরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭ডিসেম্বর সকালে দিরাইয়ে অবস্থানকারী পাক বাহিনীদের উপর তিনদিক থেকে আক্রমন শুরু করেন। তীব্র আক্রমনের মুখে এক পর্যায়ে লঞ্চযোগে দিরাই থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাক বাহিনী। এদিন বিকেলেই দিরাইয়ের প্রতিটি স্বাধীনতাকামীদের ঘরে বেজে ওঠে বিজয়ের গান, অনেকেই নিজ গৃহে উড়ান স্বাধীন বাংলার পতাকা। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আতাউর রহমান বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ভাটির জনপদ দিরাইয়ের প্রায় ৫শ দেশ প্রেমিক সূর্যসন্তান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বিজয়ের ৯ দিন আগে ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় দিরাই। ওই দিনই লেজ গুটিয়ে দিরাই থেকে পাক হায়েনার দল ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা পালিয়ে যায়। দিরাই মুক্ত দিবস উপলক্ষে দিরাই প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা, উপজেলা খেলাঘরের উদ্যোগে র্যালি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বুস্টার্স’ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচির আয়োজন করেছে।