
নিজস্ব প্রতিবেদক :ঃ পুলিশের উপর আস্থা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩২ আসামি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। গত ১৬ মার্চ দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত শাহমুল্লুক হত্যা মামলার আসামী তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে দিরাই থানায় এসে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এসময় আত্মসমর্পণকারী কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, পুলিশের প্রতি আস্থা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। তারা আরও জানান, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আমাদের আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়েছেন। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো, এমন বিশ্বাস থেকেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেই।
দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, শাহ মুল্লুক হত্যার ঘটনায় শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬৩ জনকে আসামী করে বিগত ১৬ মার্চ দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। ইতোপূর্বে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ (মঙ্গলবার) স্বেচ্ছায় আরও ৩২ আসামী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের সবাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন, পাবেল মিয়া, জয় তালুকদার, আজহার তালুকদার, বাবু তালুকদার, রেজু তালুকদার, জসিম মিয়া, ছুটিল তালুকদার, রুমান তালুকদার, ছট্ট মিয়া তালুকদার, ছলিম তালুকদার, সুজা তালুকদার, ছানুয়ার তালুকদার, সোহাগ রাজা তালুকদার, সারিক তালুকদার, আবুল খায়ের মিয়া, জাহাঙ্গীর তালুকদার, অম্রিত তালুকদার, মকুট তালুকদার, বখতিয়ার তালুকদার, সুহেল মিয়া, সেজেল তালুকদার, মেহরাব তালুকদার, লেকান্নুর মিয়া ওরফে লেকানুর, আব্দুল হাকিম, তফুর তালুকদার, ছালে আহমদ তালুকদার, হুমায়ুন তালুকদার, সাদেক নুর, কিবরিয়া তালুকদার, নাছির তালুকদার, আবু সালেক তালুকদার, মীর হোসেন তালুকদার।