অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটার সজীবের আত্মহত্যা
কলম শক্তি ডেস্ক :: অপমৃত্যুতে ঝরে গেলো ক্রিকেট প্রতিভা। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন তরুণ ক্রিকেটার সজিবুল ইসলাম সজীব। রাজশাহীর দূর্গাপুরে বাসার দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসমত আলী জানান, শনিবার রাত দশটায় সজিবুল নিজ রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। পরদিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও যখন ভেতর থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, তখন পুলিশে খবর দেয়া হয়। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর তাকে দড়ি বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মারা গেছেন তিনি অনেক আগেই। রোববার দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসমত আলী বলেন, ‘তার পরিবারের লোকজন বলাবলি করছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লীগে খেলার স্বপ্ন দেখছিল সজীব। সবাইকে সে বলতো এই লীগে তাকে দেখা যাবে। কিন্তু সজীব সেই লীগে সুযোগ পায়নি। তাই মানসিকভাবে সে বিপর্যস্ত ছিল। কয়েকদিন ধরে তাকে মনমরা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মানসিক সেই বিপর্যস্ত অবস্থা হয়তো কাটিয়ে উঠতে না পারায় হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে সে।’ তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে এই লীগে সজীবের নাম খেলোয়াড় ড্রাফটেই ছিল না। তাই তার দল পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। সজীব ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় ছিলেন। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলেছিলেন তিনি। উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। রাজশাহীর ‘বাংলা ট্র্যাক’ ক্রিকেট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন এই তরুণ। কিন্তু জীবনের ইনিংস ভালোমতো শুরুর আগেই যে নিঃশেষ হয়ে গেলেন তিনি। দূর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসমত বলেন, ‘শনিবার রাতে সজীব খাবার দাবার না খেয়েই নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরদিন সকালে জানালা দিয়ে তাকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার বাবা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে ঘরের দরজা বন্ধ। শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। দেখতে পায় ঘরের আঁড়ার সঙ্গে সজীবের দেহ ঝুলছে। পারিপার্শ্বিক সবদিক বিবেচনা করে আমরা নিশ্চিত যে এটা পুরোপুরি আত্মহত্যার ঘটনা।’