দিরাইয়ে আগুন, ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে অগ্নিকান্ডে ৮ টি বসতঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের নাছির মিয়া, মহিবুল হক, শামসুল হক, রিফাতুল, দ্বীন ইসলাম, মিঠুন মিয়া, জসিম উদ্দিন ও বাবুল মিয়ার বসত বাড়িতে এ অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে ৮ টি পরিবার মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। আগুনে বসতঘর, রান্নাঘর, ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, মালামাল পুড়ে অন্তত: ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ বাবুল মিয়া জানান, রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। কিভাবে আগুন ধরেছে জানিনা। আগুন আমাদের ঘুমানোর কক্ষ পর্যন্ত আসলে আমরা টের পাই। কোন মতে ঘর থেকে বের হয়ে জীবন বাঁচিয়েছি। তবে ঘরে থাকা ধানচাল, নগদ টাকা, সব পুড়ে ছাই হয়েছে। গত বছর কালিয়াকুটা হাওরে নৌকা ডুবিতে ১০ জন নিহতের ঘটনায় বাবুল মিয়ার শিশুপুত্র শামীম মারা যায়।
গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাবেক সভাপতি জাহেদ মিয়া বলেন, সাক্ষী হিসেবে ঘরের পাকা খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। আর কিছু অবশিষ্ট নেই, আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। তিনি জানান, গ্রামের ফান্ড থেকে তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ ৮ পরিবারকে পরিবার প্রতি ১০ হাজার করে নগদ টাকা ও কিছু চাল পরিধেয় কাপড় প্রদান করা হয়েছে।
রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান বলেন, অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে ৮ টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ৫০ টি বাঁশ ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু কম্বল দিয়েছি। তারা যাতে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে ডিসি সাহেব, ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করায় আমি সেখানে আছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অগ্নিকান্ডস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে তাৎক্ষনিকভাবে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। ডিসি স্যারের সাথে কথা হয়েছে। শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে পরিবারপ্রতি ৩ বান করে ঢেউটিন ও নগদ ৯ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।