দিরাইয়ে প্রচারণায় মাইক ব্যবহার বাদ দিলেন মেয়র প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের মাইকে প্রচারণায় অতিষ্ট শহরবাসী। বেলা ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী মাইকে প্রচার অনুমতি রয়েছে। নির্ধারিত সময়টুকুতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মোট ৬০ প্রার্থীর বেশীরভাগের কর্মীরা রিকশায় মাইক নিয়ে উচ্চস্বরে নির্বাচনী গান ও প্রচার চালিয়ে থাকেন। এই সময়টুকুতে পৌরশহরের বাজার এলাকায় জনসমাগম বেশী হয়। বিকট শব্দে বাজানো একাধিক মাইকের এলোমেলো শব্দে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা। শুধু বাজার এলাকায় নয়, পাড়া-মহল্লার ভিতরেও একই অবস্থা। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের ওয়ার্ডের গন্ডি ছাড়িয়ে অন্য ওয়ার্ডে ও বাজার এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ৮ মেয়র প্রার্থীর কয়েক সেট মাইক নিয়মিত দাফিয়ে বেড়াচ্ছে বাজার এলাকা। অবস্থা এতোটাই বেগতিক এই সময়টাতে জরুরী প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে বোধোদয় ঘটেছে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. রশিদ মিয়ার। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে জনদূর্ভোগ হচ্ছে জানিয়ে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে মাইকে প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, জনসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসে জনদূর্ভোগ দিয়ে শুরু করাটা বেমানান। আসলে মাইকিংয়ের কারণে মানুষের খুব বেশী সমস্যা হচ্ছে। এঅবস্থা দেখে লজ্জায় বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন অন্য প্রার্থীরাও এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
থানা পয়েন্টের ব্যবসায়ী মো. দুলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। কিন্তু সেখানেও মাইক বাজে। অপেক্ষায় আছি কবে যে প্রচারণা বন্ধ হবে।
রুকনুজ্জামান জহুরী বলেন, দমবন্ধ হয়ে আসে। নির্বাচন কমিশন মিছিল বন্ধ করলো, অথচ মাইকে প্রচারের অনুমতি দিলো। বিষয়টা বোধগম্য হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচনী প্রচারে মাইকের ব্যবহার স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শব্দদূষণে আক্রান্তরা বধিরতায় আক্রান্ত তো হবেনই, এছাড়া তাঁদের ক্ষুধামন্দা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, কাজে মনোযোগী হতে না পারা, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ করাসহ হৃদরোগের সমস্যাও হতে পারে।