নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ওই বাসের চালক হেলপার অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন কলেজ ছাত্রীর পিতা। এদিকে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
পরিদর্শন শেষে থানা কম্পাউন্ডে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, চলন্ত বাসে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমরা সক্ষম হব।
এর আগে শনিবার বিকেলে সিলেটের লামাকাজি বোনের বাড়ি থেকে বাসে একা দিরাইয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিল ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় ফাঁকা বাসে চালক হেলপার ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সম্ভ্রম বাঁচাতে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। গ্রামের লোকজন মেয়েটিকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। মাথায় গুরতর আঘাত থাকায় মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার মধ্যরাতে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে স্বজনরা।
সুজানগর গ্রামের বাসিন্দা ও দিরাই পৌরসভার কাউন্সিলর সোয়েল চৌধুরী বলেন, বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম, এ সময় মেয়েটিকে সড়কের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে বেশ কিছু লোক জড়ো হন। আমরা মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারি বাসের ড্রাইভার হেলপার মিলে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেলে সে জানালা দিয়ে লাফ দেয়।
মেয়েটির পিতা মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, ডাক্তারের পরামর্শে রবিবার সকালে আমার মেয়ের সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। যারা তার সাথে এমন করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।