চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: গত ১৩ মার্চ স্থানীয় কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘টাকার বিনিময়ে মুজিববর্ষের ঘর দিচ্ছেন কুদ্দুস চেয়ারম্যান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৮ নং তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসকে জড়িয়ে প্রচারিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপকারভোগীরা ও চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস।
চেয়ারম্যান বলেন, প্রকাশিত ওই সংবাদে কারো নাম উল্লেখ না করে স্থানীয় লোকদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এলাকার অনেক গৃহহীন, ভূমিহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে আমি টাকা নিয়েছি। কিন্তু কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। দুইচারজন যারা বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন, তারা বলেছেন টাকা না দেওয়ায় ঘর পাননি। এগুলো বিভ্রান্তিকর। বাছাইয়ে বাদ পড়ার ক্ষোভ থেকে তারা এগুলো বলছেন। চেয়ারম্যান জানান, তার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মোট ৪৭ টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়েছেন। যারা পেয়েছেন সেসব পরিবার বিগত ৩০/৩৫ বছর যাবত সরকারি ওই খাস ভূমিতে জড়াজীর্ণভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক এই উদ্যোগের সুফল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাছাইয়ে যারা বাদ পড়েছেন, তারাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপকারভোগী স্বামী পরিত্ত্যক্তা বিশাখা রানী বৈষ্ণব বলেন, স্বামী ফেলে চলে যাবার পর দুই মেয়ে নিয়ে চাকুরী করে জীবন চালাচ্ছি। শেখ হাসিনা ঘর দেওয়াতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। ঘর পেতে কাউকেই কোন টাকা-পয়সা দিতে হয়নি।
আরেক উপকারভোগী প্রদীপ বৈষ্ণব বলেন, মোবাইলে ওই সংবাদটা আমিও দেখেছি। এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমরা ঘর পেতে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস কিংবা অন্য কাউকে একটি টাকাও দেই নাই।
একইভাবে উপকারভোগী বিশ্বজিৎ বৈষ্ণব, মতিলাল বৈষ্ণব, গুরুধন বৈষ্ণব, সুধাংশু বৈষ্ণব, পরিমল সূত্রধর, হরেন্দ্র বৈষ্ণব, করুণা বৈষ্ণব, প্রেমতোষ বৈষ্ণব, সুভাষ বৈষ্ণব, অমুল্য বৈষ্ণব, লিটন বৈষ্ণব, দীগেন্দ্র বৈষ্ণব, বীরেন্দ্র বৈষ্ণব, পরিতোষ বৈষ্ণব, প্রবোধ বৈষ্ণব, প্রভাষ বৈষ্ণব, হরি বৈষ্ণব, সুজিত বৈষ্ণবসহ আরও কয়েকজন উপকারভোগী বলেন, সরকারি খাস ভূমিতে ৩০/৩৫ বছর যাবত পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় আমরা একটা ঠিকানা পেয়েছি। ঘর পেতে আমরা চেয়ারম্যান মেম্বারসহ কাউকেই কোন টাকা দেই নাই।