দিরাই শাল্লার ইউএনও-ওসি’র প্রত্যাহার দাবি সিপিবির
কলম শক্তি ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি করেছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটি। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন শেষে গত রোববার সন্ধ্যায় নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি জানান সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন। এদিকে, আজ মঙ্গলবার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বারসহ আটক ৩৩ জন আসামির রিমান্ড শুনানি হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতির প্রধান সম্বন্বয়ক জোনায়েদ সাকীসহ একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করবেন বলে আয়োজকরা জানান। গত রোববার বিকালে সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হামলা-ভাঙচুরের শিকার নোয়াগাঁও গ্রামটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সমাবেশে আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে। ১৬ই মার্চ রাতে ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে হামলা হয়েছে। পরদিন ১৭ই মার্চ সকালে দিরাই থানার চন্ডিপুর, নাচনী, চন্দ্রপুর ও ধনপুর গ্রামের মানুষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা করেছে নোয়াগাঁও গ্রামে। হামলার আগে নোয়াগাঁওবাসী মাইকে ঘোষণার কথা জানিয়েছে প্রশাসনকে। এমনকি প্রশাসনের উপস্থিতিতে দারাইন নদী পার হয়ে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ থেকে বুঝা যায় প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিল। সমাবেশে আনোয়ার হোসেন সুমন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিম্ন আয়ের। ঘরের যে অবস্থা হয়ে আছে, সামনে বৈশাখী ঝড়ে টিকবে না। তখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। এ জন্য প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রদান করতে হবে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জ জেলা সিপিবি সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিরঞ্জন দাস খোকন, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি দুর্যোধন দাস দুর্জয়, দিরাই উপজেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন্ময় দাস, সাবেক ব্যাংকার অভিনাশ দাস, যুবনেতা তাপস রঞ্জন, ছাত্রনেতা সৈকত দাস প্রমুখ।