দিরাইয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করা হয়। ওইসব কর্মসূচিতে গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। আমাদের অবজ্ঞা করা হয়। বাড়ির উঠোনে স্কুল। স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে যেতে মনটা আকুল হয়। কিন্তু কিভাবে যাবো। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনই মনে করে না। নির্লজ্জের মতো কিভাবে যাই। কথাগুলো আক্ষেপ আর ক্ষোভ নিয়ে বলেছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের সুতারগাঁও গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশেন্দ্র কুমার দাস ও পার্শ্ববর্তী চাতলপাড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম খান। তাঁরা জানান, আমাদের দুই গ্রামে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। একজন সিলেট শহরে বসবাস করেন। আমরা দুজন গ্রামে থাকি। সুতারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে আমাদের আমন্ত্রণ জানায় না কর্তৃপক্ষ। আমরা অপমানিত বোধ করি। জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। অথচ স্বাধীনতা দিবসে নিজের গ্রামের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ না জানানো আমাদের জন্য লজ্জা আর কষ্টের। চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা মিলে দায়সারাভাবে জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালন করে। গ্রামের মুরুব্বি, অভিভাবক এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দেয় না। এ বিষয়ে জানতে সুতারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র দাসের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।