জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে দিরাইয়ের একজনসহ নিহত ৫

কলম শক্তি ডেস্ক :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিলের সঙ্গে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শহরের কান্দিরপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে মারা গেছে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে শনিবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের মিছিলের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তিন জন মারা যান। বাকী দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।’ স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন থেকে হেফাজতে ইসলাম একটি মিছিল বের করে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘেরাও করেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বলে জানা যায়। এই হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিজিবির মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে, তবে আমাদের সঙ্গে হয়নি। হয়েছে পুলিশের সঙ্গে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ এ ঘটনায় নিহতরা হলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের ওয়ার্কশপ শ্রমিক জোহর আলম (৪০), মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২০), বুধল ইউনিয়নের কাউসার মিয়া (২৫) এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্রমিক বাদল মিয়া (২৮)। কান্দিরপাড়া এলাকায় সংঘর্ষে নিহত ছাত্রের নাম জুবায়ের (১৪)। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আমিন (৩৫), বাছির মিয়া (২৮), ছাদেক মিয়াসহ ১৪ জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Related Articles

Back to top button
Share via
Copy link
Powered by Social Snap